More

Social Media

Light
Dark

মেয়েরা তবুও হারিয়েছে স্কটল্যান্ডকে, ছেলেরা পারেনি!

অন্যদিকে, নারী দল; ঠিকঠাক সুযোগ সুবিধা তো দূরে থাক ক্রিকেটপ্রেমীদের মনোযোগটাই তো পান না তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই বড় কোন স্পন্সর জুটে না কপালে, বেতনভাতাও প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। অনুশীলনের জায়গা পেতেও ঝামেলা পোহাতে হয় কখনও।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, আরব আমিরাতে বাংলাদেশ পুরুষ দল মুখোমুখি হয়েছিল স্কটল্যান্ডের; হেসেখেলেই জয় পাবে টাইগাররা এমনটাই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু পাশার দান উল্টে গিয়েছিল সেদিন, ছয় রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের সাক্ষী হয়েছিল বাংলাদেশ। যা ভাবতে পারেনি কোটি কোটি দর্শক-সমর্থক, সেটাই বাস্তব হয়ে এসেছিল।

বর্তমানে ফিরে আসি; একই টুর্নামেন্ট, সেই মরুর দেশ। মুখোমুখি বাংলাদেশ আর স্কটল্যান্ড, তবে পুরুষ দল নয় বরং নারী দলের ম্যাচ। প্রায় এক দশক সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে জিততে না পারা টাইগ্রেসরা আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নেমেছিল। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬ রানের রোমাঞ্চকর একটা জয় তুলে নিয়েছে তাঁরা, আনন্দের আতিশয্যে ভাসিয়েছে পুরো দেশকে।

নারী আর পুরুষ দলের তুলনা অবান্তর বটে; তবে কখনও কখনও অসম এই তুলনা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় সবার অবস্থান। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমের জন-নন্দিত তারকাদের সামনেই ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের সম্মান; সত্যি বলতে পরাজয়ের উল্লেখযোগ্য দায়ও ছিল তাঁদের।

অন্যদিকে, নারী দল; ঠিকঠাক সুযোগ সুবিধা তো দূরে থাক ক্রিকেটপ্রেমীদের মনোযোগটাই তো পান না তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই বড় কোন স্পন্সর জুটে না কপালে, বেতন-ভাতাও প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। অনুশীলনের জায়গা পেতেও ঝামেলা পোহাতে হয় কখনও।

অথচ জাতীয় দল বিবেচনায় সবচেয়ে বড় সাফল্য এনেছেন এই নারীরাই। ২০১৮ সালে পরাক্রমশালী ভারতকে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিয়েছিল বাঘিনীরা – তাছাড়া নিবেদন, নিষ্ঠার দিক দিয়েও এই দলটা এগিয়ে থাকবে যেকোনো দিন।

একই দেশ, একই মানচিত্র, গায়ের জার্সিটাও এক – তবু ক্রিকেটের সবুজ ঘাসে বদলে যায় শরীরী ভাষা। সেই সাথে পারফরম্যান্সেও দেখা যায় কত ফারাক। তবু আশা রাখি দুই দলই সমান তালে এগিয়ে যাবে সাফল্যের শিখরে, কেননা তাঁরা যত উপরে যাবে তত উপরে যাবে লাল সবুজের পতাকাটাও।

Share via
Copy link