তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক বাংলাদেশ দলের। তবে, মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন এক অধিনায়কের অধীনে থাকলে ভারসাম্য রাখা সহজ হবে। খেলা ৭১-এর নিয়মিত আয়োজন ‘ছেলেখেলা লাইভ’-এ এসে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল অধিনায়কত্ব বিষয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন।
বাংলাদেশকে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিন জন সিনিয়র ক্রিকেটার। আশরাফুল মনে করেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা সঠিক সিদ্বান্ত নয়। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভালো খেলার ফলে তামিমের উপর চাপ না পড়লেও টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ককে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আশরাফুল জানিয়েছেন ভারসাম্য রাখার জন্য তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা হয়তো তিনটা না চারটা অধিনায়ক অ্যাফোর্ড করতে পারবো। কারণ আমাদের চার পাঁচটা সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। ওরা চাইলেই পারবেন, কিন্তু এটা ঠিক যে আমাদের দেশে একটা অধিনায়কই থাকা উচিত। কারণ ওয়ানডের পরে যে বাকি দুইটা ফরম্যাট ওখানে কিন্তু আমাদের ফলাফল খুবই খারাপ। ঐ দুইটা দলের অধিনায়কের কিন্তু সব সময় কঠিন সময় যাবে। তাহলে কিন্তু সমতা থাকবে না। একটা অধিনায়ক হলে ব্যাল্যান্স থাকবে যে আমি ওয়ানডেতে ভালো করছি আমাকে টেস্ট টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হবে। এখন যারা টেস্ট টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক তাদের জন্য কিন্তু চাপ। তোমাদের টিম ভালো করছে না কেন। তোমরা ভালো অধিনায়ক না এমন একটা প্রশ্ন উঠে যায় কিন্তু। কিন্তু একই প্লেয়াররা তিন ফরম্যাটে খেলছেন।’
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য হলেও টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে আশরাফুল মনে করেন বাদ পড়লেও এখানেই শেষ নয় তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার। তিনি মনে করেন মাহমুদউল্লাহ যে নিজে থেকে টেস্ট ক্রিকেটকে না বলা পর্যন্ত সুযোগ থাকবে তাঁর।
আশরাফুল বলেন, ‘ও তো টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক। ও এখন টেস্ট দলে নাই। ও যদি নিজে থেকে বলে আমি টেস্ট খেলবো না, ও যত দিন নিজে থেকে না বলবে না তত দিন ওর সুযোগ থাকবে।’
গত দুই তিন বছর ধরে তিন ফরম্যাটেই ধুঁকছে বাংলাদেশ। মাঝে মাঝে জয় পেলেও বড় দল গুলোর সাথে সাকিব-তামিমরা বিধ্বস্ত হয়েছে নিয়মিতই। দলের জুনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে ব্যর্থ ছিলেন সিনিয়র ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন জুনিয়ররা দ্রুত শিখতে না পারলে দায়িত্ব নিতে হবে সিনিয়রদেরই।
এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তামিম সহ অন্যরা ইনিংস বড় করতে পারলেই হারতো না বাংলাদেশ। এটাও জানিয়েছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা ভালো খেলেছে বলেই দল নিয়ে গর্ব করতে পারছেন তাঁরা।
তিনি বলেন, ‘সিনিয়ররা ভালো খেলছে বলেই তো আমরা আমাদের দলটা নিয়ে গর্ব করতে পারছি। আরেকটু ভালো হতো, তামিম যদি ৯০-৯২ গুলো, ৯০ এর টা সিলি আউট হয়েছে, ৯২ টা ভালো বলে আউট হয়েছে, ভালো বল বলতে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে, বুঝতে পারে নাই, ভেবেছে সোজা চলে যাবে। এই গুলো সেঞ্চুরি হলে দ্বিতীয় টেস্ট হারতাম না। এগুলোতে ওদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা জুনিয়রদের যতো বলি, জুনিয়ররা যদি ঐ ধরণের ট্যালেন্ট না হয় ওতো দ্রুত যদি সাকিব তামিমের মতো শিখতে না পারে দায়িত্বটা সিনিয়রদের নিতে হবে।’