নক্ষত্রেরা ঝড়ে পড়ে। তবুও আকাশ তো নিভে থাকে না। শেষ রাতের শুকতারার মতোও কেউ রয়ে যান। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে্র সেই শুকতারা হলেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেট কানন সুবাশিত হয়েছিল এই পঞ্চপান্ডনের বদৌলতেই। একটা সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট মানেই মানুষ ভাবত এই পাঁচজনকে। তারা হলেন – সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিম। কিন্তু, চার পাণ্ডবেরই বিদায়ের শাখ গেছে বেজে।
নন্দিত অলরাউন্ডার সাকিব ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তার শেষ টেস্টের খেলার কথা। যা তিনি দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সিরিজে খেলবেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন টি-টুয়েন্টির শেষ ম্যাচও তিনি গত বিশ্বকাপেই খেলে ফেলেছেন।
রিয়াদও বাজিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের বিদায় ঘণ্টা। আর লাল বলকে তো সেই ২০২১ সালেই বিদায় জানিয়েছেন তিনি। ওয়ানডেও খেলবেন আর কয়েকটা মাস।
এদিকে সেই ২০০৯ থেকেই টেস্ট খেলা বাদ দিয়েছেন একসময়কার দাপুটে পেসার মাশরাফি। ২০১৭ সালে অবসর নিয়েছেন স্বল্প বলের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি থেকেও। এদিকে ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটেও আর দেখা যায়নি এই নড়াইল এক্সপ্রেসকে। আর দেখারও প্রশ্ন ওঠে না।
এদিকে ২০২৩ থেকে ক্রিকেট মঞ্চ থেকে প্রায় অদৃশ্যই হয়ে পড়েন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। জহির খানের বলকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলা সেই কিশোরও এখন ধারাভাষ্য কক্ষের নিয়মিত মুখ। তিনি ওয়ানডেতে ফিরতে পারেন, আবার নাও ফিরতে পারেন।
সে হিসেবে ২২ সালে টি-টোয়েন্টি অবসর নিলেও বাকি দুই ফরম্যাটে বাকি রইলেন কেবল মুশফিক। বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকা এই উইকেট রক্ষক। আর জাতীয় ক্রিকেটে সিনিয়রদের মধ্যে একজন নি:সঙ্গ শেরপা।
আগের সেই ধার নেই তার। বেশিদিন হয়তো বাইশ গজে নেই তারও। তবে এখোনো ঝুলিতে আছে আরো কয়েকটি টেস্ট। সাথে সাকিব,রিয়াদদের সাথে সামনে আছ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
ক্রিকেট আকাশেও এসেছে নতুন সব নক্ষত্র। একে একে ভাগ বুঝে নিচ্ছেন আগের নক্ষত্রের স্থান। তবে বহাল তবিয়তেই আছেন শেষ রাতের শুকতারা মুশফিকুর রহিম। নিজের পরিশ্রম আর একাগ্রতা দিয়ে তিনি আজো টিকে আছেন। আজও তিনি রোজ নিয়ম করে সবার আগে আসেন অনুশীলনে।
হয়ত আর অল্প কয়েকটা দিন, তারপরও এই নক্ষত্রেরও অবসান হবে। মিলিয়ে যাবেন তারার মেলায়।