বাইরে থেকে একটা বিষয় দেখতে যতটা সহজ মনে হয়, ভেতরে থাকতে পারে ভীষণ জটিলতা। তেমনটিই ঘটছে পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের সাথে। তারা পরাজয়ের বৃত্তে আটকে গেছে। বিশেষ করে টেস্ট দল। ঘরের মাঠেও জয়ের দেখা পাচ্ছে না। এর পেছনে রয়েছে ঐক্যের অভাব ও আত্মকেন্দ্রিকতার প্রভাব।
বাংলাদেশের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর, ইংল্যান্ডের কাছেও ধরাশায়ী হচ্ছে পাকিস্তান। নিজেদের ঘরের মাঠে দুর্দশার চূড়ান্ত রুপই যেন তারা দেখছেন প্রতিনিয়ত। সেটাই তো স্বাভাবিক। পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্দরমহল থেকে ভেসে আসছে বিভাজনের মৃদু সুর।
খেলোয়াড়রা কেউই নাকি দল হয়ে খেলতে রাজি নন। তারা বরং মনোযোগ দিচ্ছেন ব্যক্তিগত অর্জনের দিকে। নিজের নামের পাশে রান কিংবা উইকেট পেলেই যেন সন্তুষ্ট তারা। দলের জয় তাদের প্রত্যেকের কাছেই গৌণ। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বেজায় খারাপ। তাছাড়া খেলোয়াড়রা একটা বিষয় বুঝতে পেরে গেছেন- তাদের বিকল্প অতি নগন্য।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মেনে নিয়েছে পর্যাপ্ত খেলোয়াড়ের অপ্রতুলতা রয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। তাইতো তারা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বাইরে অন্যদিকে নজর দেন না। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলি ভরে দলে টিকে থাকার এক নোংরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত প্রত্যেকে।
তাছাড়া অধিনায়কত্ব ইস্যুতেও রয়েছে নানা অভিযোগ। বাবর আজম অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তার শরীরি ভাষায় দায়সারা ভাব স্পষ্ট। ব্যাট হাতে তিনি নিজের ছায়া হয়ে বিচরণ করছেন। তবুও তার নেই কোন ভ্রুক্ষেপ। তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পাকিস্তান ক্রিকেটের কর্তারা।
এছাড়াও, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ফিটনেসের রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুলতান টেস্টের আগে সৌদ শাকিল ফিটনেস টেস্ট পাস করতে পারেননি। দলের অন্যতম আস্থাভাজন ব্যাটারের যখন এই দশা, তখন বাকিদের পরিস্থিতি আন্দাজ করে নেওয়া যায়। শুধু পরাজয়ই দেখছে সকলে, দেখতে পাচ্ছে না আড়ালে থাকা কারণগুলো।