২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপ বললেই আপনার মনে পড়বে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়াকা ওয়াকা, ওয়েভিং ফ্ল্যাগ, জাবুলানি আর বিস্ময়কর সংস্কৃতির স্মৃতি। তবে একটা মানুষের চেহারাও মনের পর্দায় ভেসে উঠবে হয়তো; ভেসে ওঠা উচিত আসলে।
তিনি ডিয়েগো ফোরলান, আট বছর পর বিশ্ব মঞ্চে ফেরা উরুগুয়ের পোস্টার বয়। প্রত্যাশার সাথে পাল্লা দিয়েই সেবার পারফর্ম করেছিলেন তিনি – ঠিক যেমনটা পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে করেছেন।
কিন্তু বহু বছর আগে অবসরে যাওয়া এই ফুটবলারকে নিয়ে আবার আলোচনা কেন? রহস্যটা এখানেই; ফোরলান নিজের ফুটবলার পরিচয়ে সীমাবদ্ধ থাকতে চাননি। আর তাই টেনিসের সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, এখন তো তিনি পুরাদস্তুর পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
আগামী নভেম্বরেই অভিষেক হবে এই তারকার, খেলবেন উরুগুয়ে ওপেনে। ফেদেরিকো কোরিয়ার সঙ্গে ডাবলস সেগমেন্টে কোর্টে নামবেন তিনি। কোরিয়া নিজেও ফুটবলের পাঁড় ভক্ত, আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসির সঙ্গে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রাম ওয়ালে রেখেছেন তিনি।
২০১৯ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার পর থেকেই ফোরলান মনোযোগ দিয়েছেন টেনিসে। হুট করে এমন কিছু করেছেন তিনি, সেটা ভাববেন না। জুনিয়র লেভেলে প্রতিভাবান হিসেবেই দেখা হতো তাঁকে; কিন্তু মাঝখানে ফুটবল জগতে চলে যান তিনি। যদিও সেই পাঠ চুকিয়ে আবারও ফিরেছেন শখের ঠিকানায়।
এই কিংবদন্তি স্ট্রাইকার বলেন, ‘গলফ আমি পছন্দ করি, এখনো খেলি। কিন্তু আমার এমন কিছু প্রয়োজন ছিল যা ফুটবলের সাথে মেলে। তো টেনিস খেলা শুরু করলাম, বেশ উন্নতিও করেছি। একটা সময় ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়রা আমাকে সহজেই হারিয়ে দিত, এরপর আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শিখি। আর এখন তো আমি নিয়মিত জিততে পারি।’
ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন প্রোফাইল অনুযায়ী, ৪৫ বছর বা এর বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে ফোরলানের অবস্থান ১০৮তম। এখন দেখার বিষয়, পেশাদার ক্যারিয়ারে তিনি কত দূর যেতে পারেন।