রিয়াল মাদ্রিদ এভাবেই খেলে, রিয়াল মাদ্রিদ এভাবেই জিতে; ধারাভাষ্যকার সেটা জানতেন, মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন। সেজন্যই রিয়াল দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও তিনি নিঃসংকোচে বলেছেন ‘দিস ম্যাচ ইজ ফার ফ্রম ওভার’ – তাঁর সেই কথাই সত্য হয়েছে; ২-০ তে পিছিয়ে থাকা দলটাই শেষমেশ জিতেছে ৫-২ গোলে!
ব্যবধানেই স্পষ্ট; লস ব্ল্যাঙ্কোসরা কেবল ম্যাচ জিতেছে, তাঁরা আসলে ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে; সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ডেকে এনে রীতিমতো ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে তাঁদের। ভিনিসিয়াস জুনিয়র, লুকাস ভাস্কুয়েজরা রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন সাম্বা বয় আর মাদ্রিদের ঘরের ছেলের পা থেকে এসেছে জয়সূচক গোল।
শুরুটা ছিল ছিপে টোপ দেয়ার মতই; আলসে ঢংয়ে পাসিং, প্রেসিং। ম্যান মার্কিংয়েও গড়বড় – টোপটা গিলেই ফেলেছিল জার্মান প্রতিনিধিরা। ত্রিশ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে যেন ডেভিড মালান, মিনিট তিনেক পরে তিনিই আবার বদল আনেন স্কোরবোর্ডে। তবে এবার নিজে গোল করেননি, করিয়েছেন সতীর্থ জেমি গিটেন্সকে দিয়ে।
এরপরের গল্পটা কেবলই অল হোয়াইটদের, প্রথম গোলের জন্য অবশ্য কাঠগড় পোড়াতে হয়েছে। তবে অ্যান্টনি রুডিগারের জোরালো হেডার জালে জড়াতেই ভেঙে যায় বাঁধ। জোয়ারের জলের মত হুড়মুড়িয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আঘাত হানে অনবরত আক্রমণ।
আর সেটার পুরোধা একজনই, ভিনি জুনিয়র। বিরতি থেকে ফিরেই তিনি আসলে ম্যাচের ফলাফল গড়ে দেয়ার দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলেন। ভাগ্যও সহায়তা করেছে তাঁকে, এমবাপ্পে বলের দখল হারালে উল্টো তাঁর কাছে চলে আসে বল। একেবারে খালি পোস্ট পেয়ে তিনি আর ভুল করেননি।
এরপরই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ডিফেন্স লাইন। একে একে তিন গোল আদায় করে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে ভাস্কুয়েজের ভুল ভ্রু কুচকে দিলেও পরের অনবদ্য পারফরম্যান্সে তিনি ঠিকই সমর্থকদের মন জিতে নিয়েছেন – একেবারে রিয়ালের মতই ১৮০° বদলে যাওয়া। এছাড়া কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত সব বিহাইন্ড দ্য রান ছিলের রিয়ালের আধিপত্যের বড় কারণ।