ভারতের এই চার নম্বর দলও বিশ্বসেরাদের কাতারে!

জাতীয় দলের সাথে ব্যস্ত থাকা ৩ দল বাদেও নিয়মিত আইপিএল খেলেন এবং জাতীয় দলের রাডারে আছেন এমন আরো ২৫-২৭ জন খেলোয়াড়ের নাম বের করা যায় খুব সহজে। তাদের মধ্যে থেকেও ১৫ সদস্যর একটা স্কোয়াড ঘোষণা করাও মুশকিল হয়ে পরে, কেননা সেখানেও আছে ভীষণ প্রতিযোগিতা।

ভারতের দু’টি ভিন্ন দল একই সময়ে খেলছে দু’টি ভিন্ন জায়গায়। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দল খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে, জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা খেলোয়াড়রা ‘এ’ দলের ব্যানারে খেলছে অস্ট্রেলিয়াতে। অন্যদিকে, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির জন্য ২১ জনের আরেকটা দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবুও খুঁজলে এক ঝাঁক বিশ্বমানের খেলোয়াড় পাওয়া যাবে ভারতের ক্রিকেট।

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি ভারত। একই সময়ে প্রায় ৭০ জন বিশ্বমানের খেলোয়াড়, একসাথে সুযোগের জন্য কড়া নাড়ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দরজায়। এ যেন এক মধুর সমস্যা। ভারতের আগাগোড়াই বেশ মজবুত, একদম রুট লেভেল থেকেই স্বর্ণ ছেকে আনে ভারত।

একটা সময় ছিল, ভারতে শুধু ব্যাটসম্যানই তৈরি হত। ভারতীয় ক্রিকেটের পাইপলাইন এখন যেন এক অন্তহীন সোনার খনি। প্রতিটি কোপে উঠে আসে নতুন রত্ন। একসময় যেখানে পেসার ছিল সোনার হরিণ, আজ সেখানে ভারত বিশ্বের ক্রিকেট মানচিত্রে দাপটের সঙ্গে দাঁড়িয়ে।

জাতীয় দলের সাথে ব্যস্ত থাকা ৩ দল বাদেও নিয়মিত আইপিএল খেলেন এবং জাতীয় দলের রাডারে আছেন এমন আরো ২৫-২৭ জন খেলোয়াড়ের নাম বের করা যায় খুব সহজে। তাদের মধ্যে থেকেও ১৫ সদস্যর একটা স্কোয়াড ঘোষণা করাও মুশকিল হয়ে পরে, কেননা সেখানেও আছে ভীষণ প্রতিযোগিতা। হার্দিক পান্ডিয়া একবার মজা করে বলেছিলেন যে আমরা চাইলে আরো দুইটি দল বানাতে পারি যারা বিশ্বের যেকোনো ট্রফি জেতার সক্ষমতা রাখে।

তার কথায় হয়ত সত্য অনেকটা, আসলে ভারত শুধুমাত্র দুই-তিনটি না, চার কিংবা পাঁচটি বিশ্বমানের টিম ও এই মুহূর্তে গঠন করতে পারে। তবুও খেলা ৭১ তৈরি করেছে একটি একাদশ, যে একাদশ যখন-তখন টেক্কা দিতে পারে বিশ্বের যেকোনো পরাশক্তিকে।

একাদশটাতে ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও প্রভসিমরান সিং। দুইজনই আইপিএলের পারফর্মার। আইয়ারের জাতীয় দলে অভিষেকও হয়েছে। তিন ও চারে থাকবেন রজত পাতিদার ও রিয়ান পরাগ। এর মধ্যে পরাগকে ভারতের নেক্সট বিগ থিঙ ভাবা হচ্ছে।

মিডল অর্ডারে এর পরে আছেন নিতিশ রানা ও শিভাম দুবে। খুব বেশিদিন হয়নি, এই দুবে ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ফিরেছেন। এরপর আছেন বোলিং অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়া।

বোলিং লাইন আপটাও মোক্ষম। শার্দূল ঠাকুর, যুজবেন্দ্র চাহাল, মাযাঙ্ক যাদব ও মোহাম্মদ শামি। শামি অবশ্য ইনজুরি না থাকলে এখন জাতীয় দলেই থাকতেন।

সব মিলিয়ে একাদশে পিওর ব্যাটার ছয়জন। এর বাদে অলরাউন্ডার দু’জন, বোলিং অলরাউন্ডারও দু’জন।  পেসার তিনজন, দুবেকে ধরলে চারজন। বোলিং কিংবা ব্যাটিং – দুই জায়গাতেই প্রচুর বোলিং অপশন আছে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারও মিডিয়াম পেস বোলিং করেন। উইকেটের পেছনে দাঁড়াবেন প্রভসিমরান সিং, রজত পাতিদারও এখানে বিকল্প থাকবেন।

তাহলে একাদশটা হচ্ছে এমন – ভেঙ্কটেশ আইয়ার, প্রভসিমরান সিং, রজত পাতিদার (উইকেটরক্ষক), রিয়ান পরাগ, নিতিশ রানা (অধিনায়ক), ক্রুণাল পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, শার্দুল ঠাকুর, যুজবেন্দ্র চাহাল, মায়াঙ্ক যাদব ও মোহাম্মদ শামি।

এখন যদি ১৫ জনের একটা স্কোয়াড ধরা যায়, তাহলে বাকি চারজন হলেন দীপক হুডা, থাঙ্গারাসু নটরাজন, রাহুল চাহার ও জিতেশ শর্মা। মজার ব্যাপার হল এরপরও আজিঙ্কা রাহানে, উমেশ যাদব, উমরান মালিক, তুষার দেশপান্ডে, শ্রীকর ভারত, পৃথ্বী শ-রা থেকে যান। বুঝুন তাহলে, ভারতীয় নির্বাচকদের কাজটা কত কঠিন!

Share via
Copy link