খেলেছে বাংলাদেশ, জিতেছে মালদ্বীপ – কিংস এরেনায় ম্যাচটার গল্প এটাই। পুরো নব্বই মিনিট বাদ দিন, ম্যাচের শেষ বিশ কিংবা পঁচিশ মিনিট দেখুন। রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন কি না করেছেন! কিন্তু প্রতিবারই তাঁরা আটকে গিয়েছেন জালে বল জড়ানোর আগেই। কখনো নিজেদের ভুল, কখনো প্রতিপক্ষের দুর্ধর্ষ ডিফেন্ডিংয়ে গোল পাওয়া আর হয়ে উঠেনি।
ঘরের মাঠে বহুদিন পর ফুটবল ফিরেছে, দর্শকদের উৎসাহ আর উদ্দীপনা টের পাওয়া গিয়েছে ফুটবলারদের পায়েও। তবে টাইগারদের ভাল খেলার দিনে জয়টা জুটেছে মালদ্বীপের কপালে, ১৮ মিনিটের মাথায় করা আলী ফাসিরের একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে তাঁরা।
অথচ ম্যাচের সূচনা থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছিল বাংলাদেশ, প্রথমবারের মত শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া মিডফিল্ডার কাজেম শাহ আর ‘ফলস নাইন’ রোলে খেলা শেখ মোরসালিনের মুন্সিয়ানায় মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ পায় স্বাগতিকরা। দুই উইং ধরে একের পর এক বল সরবরাহ করেন তাঁরা, তবে ফাইনাল থার্ডে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছেন প্রায় সবাই। তাই কাজের কাজ আর হয়নি কিছুই।
পুরো ম্যাচের গল্পটাই আসলে এমন ছিল, খেলায় দাপট ছিল টাইগারদের, কিন্তু স্কোরবোর্ডে সেটার কোন ছাপ ফেলতে পারেননি তাঁরা। অবশ্য এর কৃতিত্ব দিতে হয় মালদ্বীপের রক্ষণকে। তাঁদের ডিফেন্ডার জুটিতে, সেন্টারব্যাক ইরফান নিজের সহযোদ্ধাকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন দুর্ভেদ্য দূর্গ। যতবারই ফয়সাল ফাহিম বা রাকিব হোসেন গতির ঝড় তুলে হানা দিয়েছিলেন ডি বক্সে ততবারই তাঁরা নিজেদের পুরো শরীর দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছেন সম্ভাব্য বিপদ।
মালদ্বীপের গোলরক্ষকও নিজের পরীক্ষায় পাশ করেছেন লেটার মার্কস। নিশ্চিত গোল হজম থেকে দলকে অন্তত চারবার বাঁচিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওয়ান টু ওয়ানে রাকিবকে আটকে দেয়াটা অনেকদিন আক্ষেপ হয়ে থাকবে।
জিতলে এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে সুবিধা হতো বাংলাদেশের, সেই আশা আপাতত মাটিতে মিশে গিয়েছে। তবু খুশি হতে পারেন লাল-সবুজের কোটি ফুটবলপ্রেমী, অন্তত ভাল খেলা উপহার দিয়েছে তপু বর্মনের দল। যদিও ঘাটতি আছে ফিনিশিংয়ে, ‘পারফেক্ট নাম্বার নাইন’ না থাকলে যা হয় আরকি।