গায়ানার মাঠ খুবই স্লো, টি-টোয়েন্টির ঝড় সেখানে তোলা খুব মুশকিল সেখানে। তার উপরও রান তাড়া করতে সমস্যা হয়নি সৌম্য বা নুরুল হাসান সোহানদের। ম্যাচটা ছিল হাতের মুঠোয়। জয় দুয়ারেই ছিল রংপুর রাইডার্সের।
তবে, বাদ যায় এক রান। জেতা ম্যাচ প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। সুপার ওভারে ম্যাচ গড়ালে পাল্লা ভারি হয় হ্যাম্পশায়ার হকসের। জয় দিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু করতে ব্যর্থ হয় রংপুর।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মূল ম্যাচ টাই হলে খেলা গড়িয়েছে সুপার ওভারে। সেখানে রংপুরের দেওয়া ১৩ রানের লক্ষ্য ১ বল বাকি রেখে টপকে গেছে হ্যাম্পশায়ার। বাংলাদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিণতিও হল বাংলাদেশের মতই।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে হ্যাম্পশায়ার। রংপুরের জ্যাক চ্যাপের ২৩ রান দিয়ে নন পাঁচটি উইকেট। ব্যাটিংয়ের প্রাণ ভোমরা ছিলেন পাকিস্তানের শান মাসুদ। তিনি ৪১ বল খেলে করেন ৫৬ রান।
জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্টেফেন টেইলর উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৬ রান। ১২ বলে ২০ রান করেছেন টেইলর। আরেক ওপেনার সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে ২৭ রান।
এরপর নুরুল হাসান সোহান ও খুশদিল শাহও জয়ের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। তবে, শেখ মেহেদী, রিশাদ ও সাইফউদ্দিন টানা ব্যর্থ হন। রান রেটের চাপ দল আর নিতে পারেনি। ম্যাচ টাই হয়। আর এরপর কপাল পুড়ে সুপার ওভারে।