বেশ আগ্রাসী একটা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা। তাদের বিপক্ষে কাউন্টার অ্যাটাক করতেই হতো বাংলাদেশকে। কেননা টাইগারদের চেপে ধরতে চেয়েছিল জায়ডন সিলসরা। বাংলাদেশের পেসারদের আগ্রাসনে কুপোকাত হয়েছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। তাইতো ক্ষোভ জমেছিল তাদের বোলারদের মধ্যে। পেসারদের আগ্রাসী বোলিংয়ের সাথে স্লেজিংয়ের তুমুল স্রোত বয়ে যায় স্যাবাইনা পার্কে।
সেই স্রোতে ভেসে যান মাহমুদুল হাসান জয়ও। কিন্তু এরপরই যেন বাংলাদেশের পরিকল্পনায় খানিক পরিবর্তন আসে। পালটা আক্রমণের পথ বেছে নেন শাহাদাত হোসেন দিপু। স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছিল বাংলাদেশের ড্রেসিং রুম থেকে বার্তা ছিল পরিষ্কার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগ্রাসনকে সামাল দিতে হবে পালটা আগ্রাসন দিয়ে।
দীপু এসেই বাউন্ডারি হাঁকাতে শুরু করেন। তাতে করে তলানিতে থাকা ক্যারবিয়ানদের আত্মবিশ্বাস আর উপরে ওঠার সুযোগ খুঁজে পায়নি। তাছাড়া জ্যামাইকার উইকেটটাও প্রত্যাশিত সহজ উইকেট নয়। এখানে টিকে থাকা ভীষণ কঠিন। নতুন বলের মুভমেন্টও পাচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান পেসাররা। তাইতো রান তোলাই ছিল বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তির পথ।
শাহাদাতের পালটা আক্রমণের যাত্রাটা অবশ্য থেমেছে দ্রুতই। ২৬ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবুও পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজও বাইশ গজে এসে রান তোলার দিকে মনোযোগ দেন। সাদমান ইসলামও তার সাথে যুক্ত হন।
তাতে করে মাত্র ১৫ ওভারেই বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৯৯ রান। লিড তখন ১১৭ রানের। ৩৯ বলে ৪২ রান করে থেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ততক্ষণে বলের উপরের উজ্জ্বলতা হয়েছে মলিন। তখন অবশ্য সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বড় রান কেউ করতে পারেননি বটে। কিন্তু সবাই কম বেশি অবদান রেখেছেন দলীয় সংগ্রহে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের বর্তমানে বেহাল দশা। এমন পরিস্থিতিতে এই ছোট ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসগুলোই ব্যাটারদের যেমন আত্মবিশ্বাস ফেরাবে, তেমনি হয়ত জয়ের রাস্তাও খুলে দিতে পারে। আর ওই যে আগ্রাসনের বিপক্ষে আগ্রাসী হওয়ার সিদ্ধান্তই বাংলাদেশকে জ্যামাইকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেও ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেয়নি।