সিরিজের একদম প্রথম ম্যাচটা জিতে যাওয়ার মাশুল পই পই করে গুণতে হচ্ছে জিম্বাবুয়েকে। সেই একটা ম্যাচ বাদ দিলে পুরোটা সিরিজ জুড়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে আক্ষরিক অর্থেই ভরাডুবি হয়েছে জিম্বাবুয়ের।
আর এবার জিম্বাবুয়ের ভরাডুবির নেতৃত্ব দিলেন সুফিয়ান মুকিম। বাঁ-হাতি এই রিস্ট স্পিনারের বিষে নীল হয়েছে জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অল আউট হয়েছে মাত্র ৫৭ রানে। পুরো সিরিজ জুড়েই এটা জিম্বাবুয়ের নিয়মিত দৃশ্য।
এক প্রথম ওয়ানডেটা বাদ দিলে আর কোনো ম্যাচেই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি সিকান্দার রাজারা। আর এবার জিম্বাবুয়ের জন্য কাজটা আরও কঠিন করে ফেলেছিলেন সুফিয়ান মুকিম। তাঁর বোলিং ফিগার দেখলে যে কারও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
অথচ, বোলিং কোটার পুরোটা বোলিংই করতে পারেননি সুফিয়ান মুকিম। করেছেন মোটে ২.৪ ওভার। এর মধ্যে তিন রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন পাঁচটি! রীতিমত বিস্ময়কর আর ভয়ংকর বোলিং প্রদর্শনী। আর এই বোলিং দিয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন খোদ কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার উমর গুলকে।
সুফিয়ানই এখন পাকিস্তানের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলিং ফিগারের মালিক। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উমর ছয় রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট। সুফিয়ান তিনটি রান কম হজম করেছেন।
মাত্র ৫৭ রানে থামা জিম্বাবুয়ের এটাই টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন স্কোর। অথচ, বিনা উইকেটে ৩৭ রান তুলে ফেলেছিল দুই ওপেনার। শেষ ২০ রানে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ১০ জন খেলোয়াড়। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন সুফিয়ান মুকিম!
টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও দারুণ যাচ্ছে মুকিমের। প্রথম দুই ম্যাচেই পেয়ে গেছেন আট উইকেট!