প্রিমিয়ারলিগ ইতিহাসের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন জন টেরি। প্রিমিয়ার লিগে একসময় ফরোয়ার্ডদের ত্রাস হিসেবে বিবেচিত হতেন এই ব্রিটিশ ডিফেন্ডার। তার আগ্রাসী খেলার ধরণ এবং ব্যাকলাইনকে আগলে রেখে খেলা তার দলকে সর্বদা সাহায্য করেছে। তার বিপক্ষে খেলতে গেলে প্রিমিয়ার লীগের অনেক দক্ষ ফরোয়ার্ডরাও হিমশিম খেতে হত।
জন জর্জ টেরি, ১৯৮০ সালে ৭ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বার্কিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডে এবং পরবর্তীতে তিনি চেলসি ইয়ুথ একাডেমিতে খেলেছেন। পরবর্তীতে চেলসির মূল দলে অভিষেক হয় তার।
সন ২০০০ এ তিনি এক মৌসুমের জন্য নটিংহ্যাম ফরেস্টে ধারে খেলতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আবারও চেলসিতে ফিরে আসেন। তার ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় তিনি চেলসির হয়েই খেলেছেন।
তিনি ২০০১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে চেলসির হয়ে খেলেছেন। তিনি তার চেলসি ক্যারিয়ারে মোট ৪৯২টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে একজন ডিফেন্ডার হয়েও তিনি ৪১টি গোল করতে সক্ষম হয়েছেন। এই চেলসি ক্যাপ্টেন চেলসির হয়ে অনেক শিরোপাও জিতেছেন।
তিনি চেলসির হয়ে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৫টি প্রিমিয়ার লিগ, একটি ইউরোপা লিগ, ৫টি এফ এ কাপ এবং ৩টি লিগ কাপ শিরোপা জিতেছেন। চেলসির হয়ে এই অর্জনের ফলে তিনি বনে গেছেন একজন চেলসি কিংবদন্তি।২০১৮ সালে তার যাত্রা শুরু হয় অ্যাস্টন ভিলার হয়ে। তিনি অ্যাস্টন ভিলার হয়ে এক মৌসুম মাঠে নেমেছেন।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তার খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রার ইতি টানেন। বর্তমানে তিনি চেলসির ইয়ুথ একাডেমির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি চেলসির তরুণ খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করছেন। চেলসির তরুণদের জন্য তিনি এক অনুপ্রেরণার উৎস।
জন টেরির গল্প কেবল একজন ফুটবলারের নয়, এটি নেতৃত্ব, অধ্যবসায়, এবং প্রেরণার প্রতীক। মাঠে তার প্রতিটি পদক্ষেপ দলকে আরো শক্তিশালী করেছে। মাঠের বাইরেও তার উপস্থিতি তরুণদের উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছে। চেলসির ইতিহাসে তিনি শুধু একজন কিংবদন্তি নন, বরং চিরস্থায়ী অনুপ্রেরণা।
ফুটবল থেকে অবসরের পরও, টেরি তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা দিয়ে চেলসির নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করে যাচ্ছেন। যেন তার উত্তরাধিকার আরও দীর্ঘায়িত হয়। একদিন যখন চেলসির নতুন তারকারা বিশ্ব ফুটবলে দাপিয়ে বেড়াবে, তখন এই সাফল্যের পেছনে বড় অবদান থাকবে এই ব্যক্তির, যার নাম—জন জর্জ টেরি।