পেপ গার্দিওলার অবস্থা এখন ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি। যখন যেখানে যার সাথেই খেলছেন সেখানেই তালগোল পাকিয়ে ফেলছে তাঁর শিষ্যরা। প্রিমিয়ার লিগে টানা হারের লজ্জাজনক রেকর্ড গড়েও মুক্তি মেলেনি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এই নিয়ে তিন ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে বসলো তাঁরা।
সবশেষ জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরেছে ইংলিশ জায়ান্টরা; ফরোয়ার্ড থেকে শুরু করে মিডফিল্ড কিংবা রক্ষণ কোন বিভাগেই জ্বলে উঠতে পারেনি দলটির ফুটবলাররা। আর সেটার মাশুল দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে৷
এদিন প্রথমার্ধে বলার মত কিছুই হয়নি, ম্যানসিটি বলের দখল রেখে চেষ্টা করেছিল সুযোগ তৈরি করার কিন্তু জুভেন্টাসের জমাট রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে উল্টো চিত্রপটে বদল আসে, কাউন্টার এটাকে তাঁদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেয় স্বাগতিকরা। ৫৩ মিনিটের মাথা কেনান উইলদিজের ক্রস থেকে দলকে লিড এনে দেন দুসান ভ্লাহোবিচ।
গোল হজম করার পর আরো তাল হারিয়ে ফেলে সিটিজেনরা। রক্ষণের কথা ভুলে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে তাঁরা, তবু তুরিমের বুড়িরা একবিন্দু টলেনি। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে আরো একটা কাউন্টার এটাক, অতঃপর নিখুঁত ক্রস এবং চোখে লেগে থাকার মত ভলি। সবমিলিয়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে গার্দিওলার দল।
প্রায় সত্তরভাগ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল তাঁরা, সাড়ে ছয়শর বেশি পাস খেলেছিল। কিন্তু সবই বৃথা আস্ফালন, গোলমুখে স্রেফ তিনটা শট নিতে পেরেছিল তাঁরা। আর্লিং হাল্যান্ড, কেভিন ডি ব্রুইনার মত তারকা থাকা সত্ত্বেও গোলের সত্যিকারের কোন সুযোগই পায়নি দলটা।
এই পরাজয়ের ফলে টেবিলের ২২ নম্বরে নেমে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি। পরের দুই ম্যাচের ওপর এখন ঝুলে আছে তাঁদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ভাগ্য; তবে বর্তমান অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ম্যানসিটির বাদ পড়ার মত অপ্রত্যাশিত একটা দৃশ্য দেখতে যাচ্ছে পুরো ফুটবল দুনিয়া।