স্বল্প পুঁজি নিয়েও দূর্দান্ত লড়াই চালিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই লড়াইয়ের রসদের যোগান দিয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। টি-টোয়েন্টির পতাকাবাহক ধরা যেতে পারে ক্যারিবিয়ানদের। তাদের বিপক্ষে ১৪৮ রান ডিফেন্ড করা নিশ্চয়ই চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা তা করে দেখিয়েছে। আর সে মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন শামীম।
স্কোরকার্ডে ১৩ বলে ২৭ রানকে খুব বড় কিছু মনে হবে না হয়ত। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ দৃষ্টিগোচড় হওয়ার মত বিষয়। শেষের দিকের একজন ব্যাটার দুইশো স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালাবেন, সেটা ভাবা প্রায় অসম্ভব। তবুও শামীম তা করে দেখিয়েছেন।
সেট ব্যাটার সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর শামীম এসেছিলেন বাইশ গজে। এসেই নিজের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান শামীম। উইকেট রক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল চলে যায় সীমানার বাইরে। শর্টার লেন্থের বাউন্সারকে ছক্কায় পরিণত করবার পরই যেন আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে চলে যায় এই ব্যাটারের।
ছোট্ট ক্যামিও ইনিংসে তিনি আরও দুই খানা ছক্কা হাঁকান। এছাড়া একটি চারের মারও এসেছে তার ব্যাট থেকে। তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শামীমের রানিং বিটুইন দ্য উইকেট। আউট হওয়া বলটা সহ মোট চারটি বলে কোন রান নিতে পারেননি। বাংলাদেশী ব্যাটারদের ডট বল খেলার প্রবণতা থেকেও নিজেকে খানিক মুক্ত রাখতে পেরেছেন তিনি।
একজন ফিনিশারের কাছ থেকে এমন কিছুই তো থাকে প্রত্যাশিত। সে কাজটা দূর্দান্তভাবে করেছেন তিনি। তার ঐ ছোট্ট ক্যামিও বাংলাদেশের সংগ্রহকে ১৪৭ অবধি নিয়ে গেছে। ১৫০ রানের সেই মানসিক স্বস্তিদায়ক গণ্ডি হয়ত পেরুতে পারেনি।
কিন্তু জয়ের ব্যবধানে নিশ্চিতরুপেই গড়ে দিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তার তৈরি করে দেওয়া মঞ্চে দাঁড়িয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।