ফিরে আসার সুযোগ খুঁজছেন সাব্বির

প্রায় দেড় বছর আগে জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন সাব্বির রহমান রুম্মান।

এর পর থেকেই জাতীয় দলের রাডারে নেই এই ব্যাটসম্যান। করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নিজকে প্রমাণের তেমন সুযোগও পাননি তিনি। তাই আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগকে জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হিসাবেই দেখছেন সাব্বির রহমান।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর করোনার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়াটা নিজের দূর্ভাগ্য হিসাবেই দেখছেন তিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে ৩১ মে থেকে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। খেলা ৭১ এর সাথে একান্ত আলাপে সাব্বির রহমান জানিয়েছেন এই টুর্নামেন্টকে ফেরার সুযোগ হিসাবেই দেখছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলে ঢোকার জন্য সবার প্রধান লক্ষ্য থাকে ঘরোয়া ক্রিকেট যেন ভালো খেলতে পারি। কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য যে আমি যখন দল থেকে বাদ পড়ি তখন করোনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট হচ্ছে না। যার কারণে আমরা যারা বাদ পড়ছি তারা ঢুকতে পারছি না। কিন্তু ৩১ মে থেকে যদি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগটা হয় সেটা খেলতে পারলে আমার জন্যে ভালো হবে। এই টুর্নামেন্টে আমি ফিরে আসার সুযোগ পাবো একটা।’

ঢাকা লিগকে ফেরার সুযোগ হিসাবে দেখলেও ডিপিএল নিয়ে তেমন লক্ষ্য ঠিক করেননি সাব্বির রহমান। কারণ লক্ষ্য ঠিক করলে নাকি সফলতা ধরা দেয় না এই ব্যাটসম্যানের কাছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এবারের ডিপিএল আয়োজন করা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তাই স্টাইকরেট ভালো রেখে ফিনিশিং করার দিকেই ফোকাস রাখছেন তিনি।

এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমি আসলে লক্ষ্য ঠিক করি না। লক্ষ্য ঠিক করলে সফল হতে পারি না। আমার পরিকল্পনা হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগটা সুন্দর ভাবে আমার মত করে শেষ করা। যেহেতু টি-টোয়েন্টি হবে, ওয়ানডে হবে না, আমার স্টাইকরেটটা যেন ভালো থাকে এবং ফিনিশিং রোলটা যেন ঠিক থাকে। এটাই আমি ফোকাস করছি।’

বর্তমান বাংলাদেশে করোনা পরিস্তিতি বেশ উদ্বেগজনক। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে গত মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। করোনার এমন পরিস্থিতিত বাইরে অনুশীলন করার সুযোগ নেই বললেই চলে। সাব্বির রহমান জানিয়েছেন পুরো বছর ফিট থাকতে এই সময় তাই ফিটনেস নিয়েই বেশি কাজ করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘লকডাউনের জন্য যে বাইরে বের হয়ে ব্যাটিং বোলিং করবো সেটা তো করা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে করোনার ভিতর বোলারও পাচ্ছি না। একা একা অনুশীলন করতে হচ্ছে। আর রোজার ভিতর ফিটনেস নিয়ে কাজ করলাম। ফিটনেস সব সময় করা হয় না। ব্যাটিং বোলিং শুরু করলে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হয়না, অল্প করা হয়। সে কারণে এক মাস ফিটনেস নিয়ে কাজ করে এগারো মাস যেন খেলতে পারি আর কি।’

ডিপিএল শুরুর তারিখ চূড়ান্ত করা হলেও এখনো ডিপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করা হয়নি। ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা ছিলো চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সময় মতো খেলা মাঠে গড়ায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link