মোহামেদ সালাহ ছুটছেন তো ছুটছেনই। তিনি বিদ্যুৎ নন, বৈদ্যুতিক কোন প্রাণীও নন; তবু তাঁকে ধরার সাহস কিংবা সাধ্য কিছুই নেই কারো। প্রিমিয়ার লিগে একক আধিপত্য দেখিয়ে তিনি নিজের রাজত্ব শাসন করে চলছেন। তাঁর অফ ফর্মের বাঁধা নেই, দলগত পারফরম্যান্সের গ্রাফও নিচের দিকে নামতে দেননি।
টটেনহ্যামের বিপক্ষে লিভারপুলের ম্যাচটা তাক লাগিয়ে দিয়েছে বটে। দুই, চার কিংবা ছয়টা নয়; দুই দল মিলিয়ে এদিন মোট নয়টা গোল দিয়েছে। আর এই নয়টা গোলের মধ্যে ছয়টি গোল লিভারপুলেরই – যার মধ্যে চারটি আবার সালাহর প্রত্যক্ষ অবদানে হয়েছে।
বিরতির ঠিক আগে ডমিনিক সোবোসলাইকে অ্যাসিস্ট করেন মিশরীয় তারকা; তান্ডবের দ্বার খুলে গিয়েছিল তখনই। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই হিংস্র হয়ে ওঠেন তিনি। ক্ষণিকের ব্যবধানে আদায় করে নেন দুই গোল – বিস্ময়ে হা হয়ে দর্শকদের আরো বিস্মিত করেছেন আরো একবার সতীর্থকে দিয়ে গোল করিয়ে।
সবমিলিয়ে জোড়া গোল, জোড়া অ্যাসিস্ট নিয়ে টটেনহ্যাম হটস্পারের স্টেডিয়াম ছেড়েছেন এই রাইট উইঙ্গার। তাতেই ঝড় উঠেছে রেকর্ড বুকে, প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে যা দেখা যায়নি কখনো সেসব কীর্তি অর্জন করেছেন তিনি। লিগের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কেউই ক্রিস্টমাসের আগে গোল এবং অ্যাসিস্ট দুইদিকেই দুই অঙ্কের পৌঁছাতে পারেনি।
তবে সালাহ ঠিকই করে দেখিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তাঁর গোল পনেরোটা ও অ্যাসিস্ট এগারোটা। এছাড়া ছয়টা ভিন্ন ভিন্ন মৌসুমে দশের বেশি গোল ও অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড আছে তাঁর দখলে। এত বেশিবার এই মাইলফলক আর কেউই ছুঁয়ে দেখতে পারেননি।
১৬ ম্যাচ খেলে অবদান রেখেছেন ২৬ গোলে, এই তারকা সত্যিকারের দানব হয়ে উঠেছেন বোধহয়। মাঠের অন্যপ্রান্তে লুইস দিয়াজরাও কম যান না। টটেনহ্যামের বিপক্ষেই তো দুই গোল করেছেন দিয়াজ। গোল এসেছে ম্যাক অ্যালিস্টার, সোবোসলাইদের পা থেকেও – আক্রমণভাগে যখন এত বৈচিত্র্য, তখন সাফল্য আসা তো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আর দলটা পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক।