অফ স্ট্যাম্পের বাইরে ফুলার লেন্থ ডেলিভারি, যে সহজ ভঙ্গিতে স্টিভেন স্মিথ বলকে কাভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করলেন, একটা শব্দই মুখ থেকে বের হয়ে আসে, ‘গ্লোরিয়াস’। মেলবোর্ন ততক্ষনে দর্শকদের হুঙ্কারে ফেটে পড়েছে। হেলমেটখানা হাতে উঠে এলো, দেখা মিললো ‘গ্যাংস্টার নড’ এর।
যেন জানাতে চাইলেন, খারাপ সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ, ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদ। এবার ভালো সময়ের ফলাফল একসাথে উপভোগ করা যাক। সব ক’খানা অভিবাদন গ্রহন করলেন ব্যাটখানা উঁচিয়ে। গতকাল সম্পূর্ণ এক পিচ হেটে এসে কনস্টাসকে ধাক্কা দেয়া কোহলি আজও অনেকটা পথ হেটে এসেছেন স্মিথতে অভিবাদন জানাবেন বলে। ‘ক্রিকেট ইজ বিউটিফুল ওয়ান্স এগেইন।’
আসলেই ভালো সময়ে ফিরেছেন স্টিভ স্মিথ। সপ্তাহ দুয়েক আগে পর্যন্তও ফর্ম হারিয়ে রান খরায় ভুগছিলেন। আন-অর্থোডক্স ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে আবারও ফর্মে ফেরা সম্ভব কি না, প্রশ্ন তোলার মানুষেরও অভাব ছিলো না। স্টিভ স্মিথ ফিরলেন, গত টেস্টে ব্রিসবেনে সেঞ্চুরির পর মেলবোর্নেও সেঞ্চুরি। স্টিভ স্মিথ ফিরলেন তার সবটুকু রীতিবর্জিত সৌন্দর্য নিয়েই, ফিরলেন সবটুকু প্রতাপ নিয়ে।
ফিরেছে স্মিথের রিস্ট পাওয়ার, ব্যাক এক্রোস ফিট মুভমেন্ট এবং ফ্ল্যামবয়ান্স। সেটা এতটাই যে, জাসপ্রিত বুমরাহ দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে বিপাকে ফেলতে পারেন নি। প্রথমে অ্যালেক্স ক্যারির সাথে পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে উইকেটে বাধ দিয়েছেন। এরপর কামিন্সের সাথে শতরানের জুটিতে দলকে পৌছেছেন নিরাপদ অবস্থানে।
এর মাঝেই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৪তম সেঞ্চুরি, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যা সপ্তম সর্বোচ্চ। সামনে এখন ১০ হাজার টেস্ট রানের হাতছানি।