একটু বিশ্রামই লিটনকে ফিরিয়েছে তার চেনা ছন্দে

কিন্তু একটা জিনিস অন্তত প্রমাণ করলেন লিটন, তার সত্যিকার অর্থেই বিশ্রামের প্রয়োজন। একটু লম্বা সময়ের বিশ্রাম লিটনকে বানাতে পারে আরও ভয়ংকর আরও ধারাবাহিক। সেই সুযোগ লিটন কি নিজেকে দিতে চাইবেন?

কোন উদযাপন করলেন না। নির্বিকার ভাবে পপিং ক্রিজের মধ্যে দাঁড়িয়ে রইলেন। লিটন দাস জানেন তার সামর্থ্যের তুলনায় এমন সব ফিফটি বেশ মামুলি। তিনি নিজেও হয়ত তার প্রতি প্রত্যাশা রাখেন আকাশচুম্বি।

একটা ম্যাচের বিরতি। স্কোয়াডে ছিলেন না লিটন। চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে সেরা ১৫তেও রাখা হয়নি তাকে। এরপর তিনি ফিরলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। আর এই ফেরা হলো তার চিরচেনা রুপে। একটা ম্যাচের বিশ্রামই লিটনকে দিয়েছে দারুণ স্থিতিশীলতা।

তিনি হয়ত ভাববার সুযোগ পেয়েছেন নিজের দূর্বলতা নিয়ে। তিনি হয়ত ভেবেছেন ঠিক কোথায় হচ্ছে গড়মিল। আর উত্তর খুঁজে পেয়েছেন বলেই তো পঞ্চাশোর্ধ একটা ইনিংস উপহার দিলেন লিটন। দুই দিন আগে সজোরে ব্যাট চালানোর অনুশীলন চালিয়েছেন। এদের প্রতিফলন ঘটালেন। হাফ হার্টেড শট খেলেননি লিটন। সবগুলো শটে আত্মবিশ্বাসের সাথে পাওয়ার জেনারেট করেছেন।

 

তাতে করে ২৯ বলে ফিফটি করেছেন লিটন। তিনি যেন রান পাচ্ছেন ব্যাটে সেটাই সবচেয়ে স্বস্তির। তবে এই রান খরা কাটিয়ে উঠতে গিয়ে একেবারেই খোলস বন্দী হয়ে যাননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ব্যক্তিগত ইনিংসের শেষ বেলায় তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৭০।

নিজের স্বভাবজাত খেলাটাই খেলেছেন তিনি। দিনটা তার যাচ্ছে ভাল, তাইতো ভাল দিনটাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চাইলেন। পঞ্চাশ করেই থেমে থাকেননি। সেঞ্চুরির প্রত্যাশায় থাকা লিটনের ইনিংস থামে ৭৩ রানে। এতে দোষের কিছু নেই।

কিন্তু একটা জিনিস অন্তত প্রমাণ করলেন লিটন, তার সত্যিকার অর্থেই বিশ্রামের প্রয়োজন। একটু লম্বা সময়ের বিশ্রাম লিটনকে বানাতে পারে আরও ভয়ংকর আরও ধারাবাহিক। সেই সুযোগ লিটন কি নিজেকে দিতে চাইবেন?

 

Share via
Copy link