গোলের বন্যায় পরিশুদ্ধ ম্যানচেস্টার সিটি

হারতে হারতে ক্লান্ত ম্যানসিটি জয়ের ধারায় পেরেছে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে। তবে স্যালফোর্ডের বিপক্ষে বিশাল জয় নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস করে তুলেছে তাঁদের। এখন সেই আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করেই ধারাবাহিক হওয়ার পালা।

গোলের স্রোতে ভিজে নিজেদের বোধহয় পরিশুদ্ধ করতে চেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সেজন্যই একটা, দুইটা, কিংবা তিনটা নয়; স্যালফোর্ডকে গুণে গুণে আট গোল দিয়েছে তাঁরা। মূল দলের প্রায় কেউই খেলেননি এদিন, তবু তারুণ্য নির্ভর দলটা যেভাবে খেলেছে সেটা আসলে তাঁদের স্কোয়াড ডেপথের কথা বলে।

এদিন ম্যানসিটির আক্রমণ ভাগের নেতৃত্ব ছিল জ্যাক গ্রিলিশের হাতে; গত এক বছরের বেশি সময় কোন গোল করতে না পারা গ্রিলিশের ওপর ভরসা করাটা বৃথা যায়নি। ম্যাচের শুরু এবং শেষ গোলের অ্যাসিস্ট এসেছে তাঁরই পা থেকে অন্যদিকে, স্পট কিক থেকে গোলের দেখা পাওয়ার মধ্য দিয়ে গোল খরার অবসান ঘটিয়েছেন তিনি।

কম যাননি আরেক উইঙ্গার জেরেমি ডকুও, স্কোরবোর্ডে শুরুতেই উঠেছিল তাঁর নাম। যদিও ম্যাচের পরের অংশে পেনাল্টি থেকে আবারো জালের দেখা পেয়েছেন তিনি।

গ্রিলিশ, ডকুর ভিড়ে কাজের কাজটা করেছেন জেমস ম্যাকঅ্যাটি। ম্যানচেস্টার সিটির একাদশে তো ঠিকঠাক সুযোগ আসে না, তাই যেদিন আসে সেদিন পূর্ণ ব্যবহার করতে হয়। ২২ বছর বয়সী ইংলিশ তারকা ঠিক তাই করেছেন। মিডফিল্ডার হয়েও প্রতিপক্ষের গোল পোস্টের সাথে অদ্ভুত সমন্বয় গড়ে তুলেছিলেন – আদায় করে নিয়েছেন হ্যাটট্রিক।

খুব বেশি সময় লাগেনি, মাত্র ২১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল আদায় করেছিলেন ম্যাকঅ্যাটি। তাঁর এমন তাণ্ডবপূর্ণ পারফরম্যান্সের কারণে স্যালফোর্ড উড়ে গিয়েছে খড়কুটোর মতন। এখন দেখার বিষয়, প্রিমিয়ার লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে তাঁর ওপর ভরসা রাখবেন কি না।

হারতে হারতে ক্লান্ত ম্যানসিটি জয়ের ধারায় পেরেছে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে। তবে স্যালফোর্ডের বিপক্ষে বিশাল জয় নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস করে তুলেছে তাঁদের। এখন সেই আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করেই ধারাবাহিক হওয়ার পালা।

Share via
Copy link