মিরাজ ও রানা, অভিনব এক দ্বৈরথ

সব কিছুর জবাবটা যেন ব্যাট হাতেই দিলেন মিরাজ। নাহিদ রানার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পেস বোলিংয়ে ঝড় তোলা রেজাউর রহমান রেজাকেও হাকিয়েছেন টানা দুই চার। এটাই তো প্রকৃত অলরাউন্ডারের বৈশিষ্ট। যেকোনো একদিকে জ্বলে তো উঠবেনই। আর তা যদি হয় নাহিদ রানার মত বোলারের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তাতে তো ষোলকলা পূর্ণ।

ইনিংসের ১১ তম ওভারে ইফতেখার আহমেদকে স্লগ সুইপ মারতে গেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। টপ এডইজ হয়ে বল চলে গেল শর্ট ফাইন লেগে। সহজ ক্যাচটাই দু’বার ধরি ধরি করেও ছেড়ে দিলেন নাহিদ রানা। এই দুই তরুন তুর্কীর মধ্যে দ্বৈরথটা যদিও শুরু হয়ে গিয়েছিল এর খানিক আগেই।

নাহিদ রানার ফুলার লেন্থের আউট সাইড অফের কামানের গোলার মত ধেয়ে আসা বলটা কাভারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দৃষ্টিনন্দন এক ছক্কা। এমন বুকের পাটা কয়জন ব্যাটারের হতে পারে বলতে পারেন? গতদিন পাঁচে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ এদিন ওয়ানডেতে এসেই দিলেন এমন চমক।

এখানেই শেষ নয়, পরেই বলেই রানার গতিকে কাজে লাগে শর্টার লেন্থের বলটা লেগ সাইড দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন আবার এক বাউন্ডারির জন্য। চোখেমুখে রীতিমতো তখন বিস্ময় নাহিদের। এবার আরও জোরে গুড লেন্থে বল দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মিরাজের দিকে। মিরাজ যেন বলটার জন্য অপেক্ষা করেই ছিলেন, দেখে শুনে তুলে দিলেন মিড অফের উপর দিয়ে। ফলাফল, আবারও এক বিশাল ছক্কা। এই মূহুর্তে বিশ্বকাপানো পেসারকে যেন পাড়া গলির লেভেলে নামিয়ে আনলেন মিরাজ।

যদিও ওভার তিনেক পরে আবারও বোলিংয়ে আসেন নাহিদ রানা। তবে এবার যেন নিজের জাতটা চিনিয়ে দিলেন তিনি। দুইটা ব্যাক অফ লেন্থ আর বাউন্সার দিয়ে দিয়ে মিরাজকে পেসের তান্ডবটা দেখালেন। টানা তিন ডটে চাপে পড়ে যায় মিরাজ। দ্রুত রান তোলার চাপে তিনবার ক্যাচ তুললেন তিনি। এজন্যই ইনিংসটা বেশি বড় করতে পারেননি মিরাজ। আর মাত্র চার রান যোগ করেই ৩৯ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

অথচ তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনার ঝড়। আগের ম্যাচেই বল হাতে খরচ করেছেন পঞ্চাশের উপরে রান। এদিনও করেছেন মোটে এক ওভার। পেস আর বাউন্স বল খেলতে পারেননা, এমন খোঁচাও খেয়ে এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে।

সব কিছুর জবাবটা যেন ব্যাট হাতেই দিলেন মিরাজ। নাহিদ রানার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পেস বোলিংয়ে ঝড় তোলা রেজাউর রহমান রাজাকেও হাকিয়েছেন টানা দুই চার। এটাই তো প্রকৃত অলরাউন্ডারের বৈশিষ্ট। যেকোনো একদিকে জ্বলে তো উঠবেনই। আর তা যদি হয় নাহিদ রানার মত বোলারের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তাতে তো ষোলকলা পূর্ণ।

Share via
Copy link