মেজাজটাই তো আসল রাজা। আর নাঈম শেখ তো নিজেরে মেজাজের রাজা। তিনি খেলেন নিজের মর্জি মত। তাতে দলের উপকার হোক কিংবা না হোক – ও তো সব দেখার তাঁর সময় নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈম শেখের মত রহস্যময় ঘটনা আগে আর ঘটেনি। তাঁর পরিসংখ্যান দেখতে গেলে চমকে উঠতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিয়মিত রান করেন, আকাশচুম্বি গড়। কিন্তু, সেই রানটা দলের আদৌ কাজে আসল কি না সেই ধার তিনি ধারেন।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৫৯ বলে ৭৭ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৩০.৫০। এখানে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৪৯ তম বলে গিয়ে। ১৯ তম ওভার শেষ করার সময় তাঁর রান ছিল ৫২ বলে ৫৮ রান।
খুলনা টাইগার্স যে ১৬৮ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র সাত রানে হেরেছে – তার জন্য সবচেয়ে বড় আসামী আসলে এই নাঈম শেখ। তিনি ইনিংসটা যত বড় করবেন, দলের হারের সম্ভাবনা ততই বাড়বে। এর কোনো নড়চড় হবে না, তা তিনি শেষ ওভারে গিয়ে যতই অর্থহীন ছক্কা মারুন না কেন।
আউট হয়ে ফিরেছেন ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই বল বাকি থাকতে। চোখে মুখে রাজ্যের হতাশা। তিনি নিজেই মাঠ খুড়ে এই হতাশার মঞ্চটা নির্মান করেছেন। ধারাভাষ্য থেকে কে যেন বললেন, ‘নাঈম শেখ ডিপার্টস, দ্য লোন ওয়ারিয়র!’
বাংলাদেশ ক্রিকেটটাই তো আসলে বোকার রাজ্য, এখানে এরকম বোকা-বোকা কথা বলা দোষের কিছু নাই। নাঈম শেখ আদৌ যুদ্ধ করা, দলকে জেতানোর মানসিকতা নিয়ে খেলতেই নামেননি। কিংবা, এরকম ম্যাচ জিততে কি অ্যাপ্রোচে ব্যাট করা দরকার সেটা তিনি জানেনই না।