শামিম পাটোয়ারি যখন ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন, ক্যারিশমাটিক ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন তখন কেক কাটছিলেন মিরপুরে। এই কাজটা যে কেবল নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ফাস্ট বোলারের পক্ষেই করা সম্ভব সেটা আর বলে না দিলেও চলে।
কথা বলার নাটকীয় ধরণকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ড্যানি মরিসন। স্বাভাবিক দিনেই তিনি যা যা করেন, সেগুলো নিয়ে আলাদা আলাদা করে হাস্যরসের জন্ম দেয়। আর বিপিএল কোয়ালিফায়ারের দিনে তিনি যে বাড়তি কিছু করবেন সেটা তো না বলে দিলেও চলে।
আর সেই দিনটা যদি আবার হয় তাঁর নিজের জন্মদিন, তাহলে তো কথাই নেই। গ্যালারিতে বসে কেক কাটলেন এক ক্ষুদে শিশুর সাথে। চিটাগং কিংস তখন ব্যাট করছে। বাইশ গজে চারছক্কা হাঁকাচ্ছেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি।
তখনই হঠাৎ গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে দেখা গেল ড্যানি মরিসনকে। তিনি ব্রডকাস্টারের মাইক ধরে আছেন এক শিশুর সাথে। বাচ্চাটার নাম জোয়ি। সে চিটাগং কিংসের সমর্থক। মজা করে তাকে বললেন, ‘জোয়ি, তুমি নাকি আমার জন্য কেক বানিয়েছো?’
জোয়ি তখন আকাশ থেকে পড়ল। তখনই কোথা থেকে যেন একটা কেক এসে হাজির হল। চিৎকার করে ড্যানি মরিসন বললেন, ‘ইটস মাই বার্থডে জোয়ি!’ কেক কাটলেন সবাই এক সাথে। ঠিক তখনই লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে স্লগ স্যুইপ করে ছক্কা হাঁকালেন শামিম পাটোয়ারি! ড্যানি মরিসন বললেন, ‘হ্যাপি সিক্সেস!’
আর কিছু শোনা গেল না। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে আতহার আলী খান বললেন, ‘ড্যানি কেক কাটায় হারিয়ে গেছে, ও আর কিছু বলার অবস্থাতে নেই। আমরা বরং ক্রিকেটে ফিরে যাই!’