খেলার সুযোগই পাচ্ছিলেন না, অ্যাডাম মিলনে মাঠে নামলে আজও খেলা হত না। সেই মোহাম্মদ আলী অভিষেকেই নিলেন পাঁচ উইকেট। অথচ, এরপরও বিপিএলের পরের ম্যাচগুলোতে থাকবেন কি না জানেন না!
কারণ, তিনি তো আর অ্যাডাম মিলনের মত পরিচিত কেউ নন। নামটা বড্ড অচেনা তাই না! ৩২ বছর বয়সী আলী আসলে তারকা কোন বোলার নন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কোয়ালিফায়ারের মত মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেমেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েও পরের ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাবেন কি-না তা নিয়েও আছে সন্দেহ।
কেননা, তিনি একাদশে জায়গা পেয়েছেন অ্যাডাম মিলনে এখনো পৌছাতে না পারায়। মিলনে আসবেন তিন তারিখে, সেজন্যই আলীর উপরে ভরসা রাখলো ফরচুন বরিশাল ম্যানেজমেন্ট। প্রশ্ন হল কে এই মোহাম্মদ আলী?
তিনি নবাগত কেউ নন। তিনি রীতিমত পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলেন। তবে সেটা টেস্ট। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও ছিলেন। ২০২২ সাল থেকে শুরু করে এখন অবধি খেলেছেন অবশ্য মোটে চার টেস্ট।
তবে, যারা পাকিস্তান ক্রিকেটে চোখ রাখেন, তারা জানেন আলীর সক্ষমতা। আহামরি গতি, সুইং বা লাইন লেন্থ কোনটাই তার নেই। তবে আলী একটা জিনিসে বেশ পটু। তিনি ধারাবাহিক উইকেট শিকারী। এত প্রতিকূলতা ঠেলেও তিনি ম্যাচের পর ম্যাচ উইকেট তুলে যান নির্দ্বিধায়।
চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও দেখালেন সেই চিরচেনা ঝলক। এক ওভারে চার উইকেটসহ মোট পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে গুড়িয়ে দিলেন সাগর পাড়ের দলটাকে। শুরুতে চাপে পড়া চিটাগং মাঝে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাসও দিয়েছিল। তবে তাদের স্বপ্নের গুড়ে বালি ছুড়ে মারলেন যেন আলী।
ইনিংসের ১৯ তম ওভারে খালেদ আহমেদকে বোল্ড করে শুরু। পরের বলে তুলে নেন একাই চিটাগাংয়ের ব্যাটিংকে টেনে নেওয়া শামীম হাসান পাটওয়ারীর উইকেট। ওভারের শেষ দুই বলে তুলে নেন আরও দুইটি উইকেট।
এক ওভার, দুই রান, চার উইকেট। হ্যাঁ, এখানেই শেষ চিটাগংয়ের ভালো ফিনিশিংয়ের স্বপ্ন, গুটিয়ে গেল মাত্র ১৪৯ রানে। এর আগে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকেও। এতেই আফিফ হোসেন ধ্রুবর পর বিপিএল অভিষেকেই পাঁচ উইকেট শিকার করা দ্বিতীয় বোলার বনে গেলেন তিনি। তাতে অবশ্য তাঁর ভাগ্য পাল্টাবে না, পরের ম্যাচটাতেও হয়ত বেঞ্চ গরম করবেন তিনি!