পাওয়ার হিটিংয়ের ক্যারিবিয়ান অধ্যায়

১০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটা মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল, কিন্তু শেষ হওয়ার আগে সেই স্ট্রাইক রেট প্রায় ২০০-তে গিয়ে ঠেকল।

ক্যারিবিয়ান পাওয়ার হিটিংয়ের ধারাটাই অন্যরকম। যখন সেই ডাক আসবে, তখন সেটা অবধারিত – কোনো কিছুই যেন আটকাতে পারবে না। তেমনই এক পাওয়ার হিটিংয়ের অনবদ্য প্রদর্শনী হয়ে গেল মিরপুরে। সেই চিত্রনাট্যের প্রধান কুশীলব শিমরন হেটমায়ার।

এই মিরপুর তাঁর পছন্দের মাঠ। এই মাঠেই তো ২০১৬ সালে অধিনায়ক হিসেবে জিতে নিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা। সেই মঞ্চটা এবার বিপিএল। দলের নাম খুলনা টাইগার্স। শেমরন হেটমায়ারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর আগের মত প্রাসঙ্গিক নন।

তবে, ট্রেনিংটা যে তিনি ফেরত দেননি। খুলনা টাইগার্সের যখন ১৪০ রান বোর্ডে জমা করাটা দুস্কর ছিল তখন দলকের স্কোরকে ১৬৩-তে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। তার নিজের ইনিংসটাই আসলে খুলনার ইনিংসের প্রতিচ্ছ্ববি। শুরুর দিকে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন, আস্তে আস্তে খাত খুলতে শুরু করেছেন। আর যখন তিনি বাধনছাড়া পাগলা ঘোড়া, তখন তাঁকে আর আস্তে দৌড়াতে বলার সাধ্য কার?

১৬ ওভার শেষে ২১ বলে এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের রান ছিল মাত্র ২২। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে ফিরলেন। এই সময়ে আর মাত্র ১২ টা বল খেলরেন রান করলেন ৪১। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন। ১০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটা মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল, কিন্তু শেষ হওয়ার আগে সেই স্ট্রাইক রেট প্রায় ২০০-তে গিয়ে ঠেকল।

টি-টোয়েন্টিতে এই ধরণের ব্যাটিং এখন আর কেউ করে না। শুরুতে রয়েসয়ে থেকে শেষে ঝড় তোলা। এটা খুবই সেকেলে ধারা। এই ধারাটায় এখন কেবল এই ক্যারিবিয়ানরাই মানানসই। কারণ, মুহূর্তের মধ্যেই একটা-দুইটা ওভারে তাঁরা ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে ফেলতে পারে। খুলনা টাইগার্সের হয়ে সেই মোমেন্টাম পাল্টে ফেলার নায়ক শিমরন হেটমায়ার।

Share via
Copy link