টানা দুই ছক্কা হজম করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। গ্লেন ফিলিপস একটি বাউন্ডারির পর হাঁকিয়েছেন দুইটি বিশাল ছক্কা। এরপর আবার হেনরিখ ক্লাসেন হাঁকালেন দুইটি ছক্কা। তারপর অবশ্য একটি চারও আদায় করে নিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটার। শাহিন শাহ আফ্রিদি এখন রীতিমত এক বোলিং মেশিন। নির্বিষ বোলিং, বেধম প্রহার, এই নিয়েই বেঁচে আছেন বা-হাতি বোলার।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেনানী শাহিন, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই নিশ্চয়ই। তাকে কেন্দ্র করেই বোলিং আক্রমণের পরিকল্পনা ছক কষবে পাকিস্তান। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তিনি যেন শঙ্কা বাড়ালেন। রান খরচে তিনি উদরতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন চলমান ত্রি-দেশীয় সিরিজে।
প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে পাকিস্তান। সেই ম্যাচে কোটার দশ ওভার শেষে ৮৮ রান হজম করেছেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও দেদারছে রান বিলিয়েছেন। ৬৬ রান খরচ করেছেন তিনি মাত্র দুই উইকেটের বিনিময়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ঝুলিতে ঢুকেছিল তিন উইকেট।
দুই ম্যাচে তার খরচা ১৫৪ রান। পাকিস্তানের উইকেট গুলো ভীষণ রানপ্রসবা। শাহিন আবার উইকেট শিকারি বোলার। রান খরচকে তাই হয়ত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাই করবে অনেকে। কিন্তু উইকেটের সাথে সাথে তো রানেরও লাগাম টেনে ধরা চাই।
শাহিন আফ্রিদি দলের মূল বোলার। তিনি প্রহারের শিকার হলে বাকিদেরও মনোবলে ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়। আর সেটাই ঘটছে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে। নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৩৩০ রান। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫২ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
গত বছরও এতটা অসহায় মনে হয়নি বা-হাতি এই পেসারকে। প্রায় ৫২ ওভার বোলিং করে তিনি দিয়েছিলেন ২৬৪ রান। বিনিময়ে উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি। হুট করেই এমন ছন্দপতন পাকিস্তানের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে নিশ্চয়ই।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। এবার তারা স্বাগতিক। নিজেদের আয়োজন করা টুর্নামেন্টে শিরোপা নিজেদের দখলেই রাখতে চাইবে। কিন্তু শাহিনের এই রান খরুচে স্বভাব ভোগাতে পারে স্বাগতিকদের। বাউন্স ব্যাক করবেন শাহিন, নাকি নিজের সাথে দলকেও ডোবাবেন?