মাহমুদুল হাসান জয় নিজেকে বিরাট কোহলি ভাবতেই পারেন। কিংবা তাঁর চেয়ে এগিয়েও রাখতে পারেন নিজেকে, বিরাট কোহলি পঞ্চম বা ষষ্ঠ স্ট্যাম্প অবধি বলকে তাড়া করেন। জয় আরেক কাঠি সরেস, তিনি অষ্টম স্ট্যাম্পে গিয়ে বিট হলেন।
শরীরের অনেক বাইরে দিয়ে যাওয়া একটা ডেলিভারি, যেটাকে চাইলেই ছেড়ে দেওয়া যায়, সেটাকে অহেতুক খোঁচা মারলেন। বল গিয়ে জমা হল উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোর হাতে। ফাস্ট বোলার ভিক্টর নিয়াউচি হুট করে একটা উইকেট পেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়লেন।
আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামেরও একই দশা। তিনি আগেই ফিরেছেন ওই ভিক্টর নিয়াচির বলে। আবারও অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল, ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন, আবারও খোঁচা, সেবার বল জমা হয়েছিল থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো ব্রায়ান বেনেটের হাতে।
বাংলাদেশের কোনো ওপেনারই উইকেট ছুড়ে ফেলার আগে কোনো ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন বোধ করেননি। ২০২৪ সালে সাদমানের ব্যাটিং গড় ছিল ২৮! টেস্টের জন্য মোটেও আদর্শ নয়। তবে, এই পরিসংখ্যান বলে তিনিই বাংলাদেশের সেরা ওপেনার।
জয়ের ব্যাটিং গড় ২০২৪ সালে ছিল ১৩.৫। কে কত ‘খারাপ’ করেছেন – সেটা নিয়ে প্রতিযোগীতা হতে পারে! ওপেনারদের ভেতরে কোনো প্রতিযোগীতাই নেই আসলে, যার জন্য তাঁরা দলে নিজেদের জায়গা নিয়ে শঙ্কায় থাকবেন।
স্কোয়াডে থাকা আরেক ওপেনার জাকির হাসান ২০২৪ সালে রান তুলেছেন ১৫.৯৩ গড়ে। বিন্দুমাত্র প্রতিদন্দ্বীতার তাড়ণা না থাকলে এভাবে উইকেট ছুড়ে আসাই যায়। যদিও, জাতীয় ক্রিকেট লিগে অমিত মজুমদার, এনামুল হক বিজয় আর ইফতেখার হোসেন ইফতিরা যথাক্রমে ৪৪.১৩, ৬৭.৩৭ ও ৪০.৯১ গড়ে রান তুলেছেন! নির্বাচকরা তাঁদের আর প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে দিচ্ছে কোথায়!