হাওয়ায় উড়লেন দুশমন্থ চামিরা। ছোঁ মেরে তিনি তালুবন্দী করলেন বল। ঠিক যেন শিকারি বাজপাখি। দু’হাত তুলে প্রশংসা করলেন সময়ে সেরা অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। পুরো দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে বয়ে যায় বিস্ময়েরর প্রবল দোলা।
মানুষ হয়েও ওড়া যায়, পাখির মত শিকার ধরা যায়! নিঃসন্দেহে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ক্যাচ। এমন দূর্দান্ত ক্যাচ দ্বিতীয়টি ধরা প্রায় অসম্ভব। ডিপ মিড উইকেট থেকে ফাইন লেগের দিকে দৌড়ে গেলেন। ছক্কা বাঁচাতে পারলেও তা দলের জন্যে হতে পারত ‘মেন্টাল বুস্টার’। তবে চামিরা দলকে করলেন পূর্ণ চাঙ্গা।
মিচেল স্টার্কের লেগ স্ট্যাম্প লাইনের ফুলার লেন্থের বল। সজোরে সেই বলকে ফাইন লেগের দিকে উড়িয়ে মারলেন অনুকূল রায়। তিনিও ধরে নিয়েছিলেন নিশ্চিত বাউন্ডারি। কিন্তু তাকেও অবাক করেছেন চামিরা। প্রায় বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে যাওয়া বলকে তালুবন্দী করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়।
প্রচণ্ড গতিশীল বল, ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। সেই বলের গতিপথ আন্দাজ করা ভীষণ কঠিন কাজ। চামিরার হাতে ছিল হয়ত মিলি সেকেন্ড সময়। তিনি এই সময়ের মধ্যে দৌড়ে গেলেন।
হাওয়ায় নিজের শরীরকে পুরো ছুড়ে দিলেন। দু’হাত বাড়িয়ে দিলেন বলের দিকে। তার হাতজোড়া তখন বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী চুম্বকে পরিণত হয়েছিল।
উইকেট বিবেচনায় হয়ত খুব একটা বড় উইকেট ছিল না। তবে ওই একটি ক্যাচই দিয়ে দেয় নিবেদনের সকল বার্তা। জার্সি বদলায়, পরিবেশ বদলায় কিন্তু ক্রিকেট ময়দানে একজন ক্রিকেটারের নিবেদন বদলায় না কখনোই। দুশমন্থ চামিরা সেই কথার সত্যতা প্রমাণ করলেন নিজেকে বাজ পাখিতে রুপান্তরিত করে।