বর্তমান যুগের টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং জুটিই মূলত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে, দলের বাকি কাজটাও সহজ করে দেয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে যেমনটা প্রতিনিয়ত করছে পাঞ্জাব কিংস এবং গুজরাট টাইটান্সের ওপেনিং জুটি।
এই দুই দলের দুই ওপেনার প্রতিটা ম্যাচেই এনে দিচ্ছেন দারুণ শুরু। আর প্লে-অফের রেসে অনেকটাই এগিয়ে দুই দলই। আর যার পেছনের কারিগর তাদের লোকাল ওপেনার।
পাঞ্জাব কিংস ওপেনিং পজিশন নিয়ে রীতিমতো বাজি খেলেছে। এবারের আসরে অনেকটা খাপছাড়া ব্যাটিং অর্ডারই বানিয়েছিল পাঞ্জাব। টপ অর্ডারে ভালো মানের বিদেশি না থাকায় ওপেনিং পজিশন নিয়ে শুরুতে দুশ্চিন্তা ছিল পাঞ্জাব শিবিরে। তবে সেই জায়গাটাতে ভরসা দিয়েছেন আইপিএলের প্রথম আসরে সুযোগ পাওয়া প্রিয়ানশ আরিয়া।
পাঞ্জাবের এই ব্যাটার এবারের আসরে ১২ ম্যাচ খেলে করেছেন ৪১৭ রান। স্ট্রাইক রেটটা ১৯৪.৮৫, যা প্রমাণ করে, শুরুতেই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে সিদ্ধহস্ত তিনি। যা গেমের মোমেন্টাম শুরুতেই নিজেদের দখলে নিয়ে আসে।
অন্যদিকে তাদের আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং ১২ ম্যাচে করেছেন ৪৮৭ রান। স্ট্রাইক রেট ১৭০ হলে মূলত অ্যাংকরিং রোল প্লে করেন তিনি। ফলে পাঞ্জাবের অধিকাংশ সাফল্যই আসে এই দুই ব্যাটারের হাত ধরে।
গুজরাট টাইটান্সের এবারের আসরে সাফল্যের শুরুটা হয়েছে ওপেনিং থেকেই। শুভমান গিল এবং শাই সুদর্শনই ম্যাচ শুরুতেই নিজেদের করে নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, এবারের আসরে দুজন ওপেনার হিসেবে ৫০০-এর বেশি রান করে রেকর্ড গড়েছেন।
আইপিএলের এবারের আসরে লোকাল প্লেয়ারদের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে পুরোটা সময়। ওপেনিং স্লটেও লোকাল ওপেনাররা আশা দেখাচ্ছেন। তবে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অবশ্য পুরো আসরে লোকাল ওপেনিং পেয়ারে ভরসা রাখেনি।
রাজস্থান রয়্যালস মাঝপথে এসে বৈভব সুর্যবংশীকে সুযোগ দিয়েছিল। চেন্নাইও কোনঠাসা হয়ে শেষমেশ খেলিয়েছিল আয়ুশ মাহাত্রেকে। যারা মোটামুটি পারফর্ম করে জানান দিয়েছেন নিজেদের যোগ্যতা।
তাই তো প্রশ্ন উঠতে পারে— অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লোকালদের উপর কেন পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারে না? পাঞ্জাব-গুজরাট ভরসা রেখেছিল বলেই আসরের সেরা ওপেনিং জুটিটা তো তাদের দখলে।