ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল এবারের আসরে প্রত্যাশার চাপে ব্যর্থ হয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। কাড়িকাড়ি টাকা ঢেলেও প্লে-অফে যেতে পারেনি ঋষাভ পান্তের দল। তাই তো সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এবার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ছেটে ফেলার তালিকায় থাকছে বেশ কয়েকজন বড় তারকার নাম।
প্রথম নামটিই ঋষাভ পান্তের। ২০২৫ সালের আইপিএল মেগা নিলামে রেকর্ড ২৭ কোটি টাকায় তাকে দলে নিয়েছিল লখনৌ, দায়িত্বও দিয়েছিল অধিনায়কত্বের। কিন্তু পন্থ পুরো মৌসুমেই ছিলেন ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ।
১৪ ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ২৬৯ রান, যার মধ্যে একটি শতক ও একটি অর্ধশতক থাকলেও শেষ ম্যাচেই আসে তার ১১৮ রানের ইনিংস। কারণ হিসেবে— পুরো মৌসুমে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যর্থতা, প্লে-অফে না ওঠার পেছনে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পন্থের পরেএ নামটা মায়াঙ্ক যাদব। তাকে ১১ কোটিতে ধরে রেখেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু বারবার চোটের কারণে মাত্র দুটি ম্যাচেই খেলতে পারেন তিনি এবং নিয়েছেন মাত্র দুটি উইকেট। যাদবের প্রতিভা নিয়ে সংশয় না থাকলেও ফিটনেস তাকে নিয়ে তৈরি করছে বড় প্রশ্ন।
আবেশ খানও রয়েছেন তালিকায়। যাকে লখনৌ ৯.৭৫ কোটিতে দলে নিয়েছিল, তিনিও ছিলেন পুরো মৌসুমে ম্লান। ১৩ ম্যাচে মাত্র ১৩ উইকেট এবং তার উপর ১০.২৮ ইকোনমির মতো খরুচে বোলিং—ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যাশার ধারেকাছেও আসতে পারেননি।
ব্যাটিং লাইনআপেও হতাশা ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটার ডেভিড মিলার ৭.৫ কোটিতে দলে এলেও মাত্র ১৫৩ রান করেছেন ১১ ম্যাচে। নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের অভাবে তাকেও রাখা হতে পারে ছাড়ার তালিকায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদীয়মান পেসার শামার জোসেফও ছিলেন ব্যর্থদের তালিকায়। ৭৫ লাখে তাকে দলে নেওয়া হলেও খেলেন মাত্র একটি ম্যাচ, উইকেটহীন পারফরম্যান্স তার সম্ভাবনাকে ধাক্কা দিয়েছে প্রবলভাবে।
এছাড়া ১১ কোটিতে দলে রাখা লেগ-স্পিনার রবি বিষ্ণয় ১১ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ৯ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিতে না পারায় তাকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে টিম ম্যানেজমেন্টে।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজেও ২০২৫ ব্যর্থতায় অসন্তুষ্ট। আর তাই ২০২৬ মৌসুমের আগে দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বড়সড় ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারেন তিনি।
আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে সফল হতে গেলে ধারাবাহিকতা, পারফরম্যান্স এবং ফিটনেস—এই তিনটি ক্ষেত্রেই হতে হয় কঠোর। লখনৌ-এর এই সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত সেই বার্তাই বহন করছে।