রিয়ালের ছকেই ষষ্ঠ তারার মিশনে কার্লো আনচেলত্তি!

বার্নাব্যু ছেড়ে সেলেসাওদের ডেরায়, কার্লো আনচেলত্তি নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ব্রাজিল শিবিরে। রিও ডি জেনেইরোতে পা রাখার পরপরই এখন অ্যাক্টিভ মুডে বর্ষীয়ান এই কোচ। আসন্ন বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের জন্য ২৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে মূল প্রশ্ন থেকে যায়—এই ইউরোপীয় কোচের অধীনে কেমন ফুটবল খেলবে ব্রাজিল?

কার্লো আনচেলত্তি নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ব্রাজিল শিবিরে। বার্নাব্যু ছেড়ে সেলেসাওদের ডেরায়, আর এখানেও তিনি রিয়াল মাদ্রিদের কৌশলই অবলম্বন করবেন। রিও ডি জেনেইরোতে পা রাখার পরপরই এখন অ্যাক্টিভ মুডে বর্ষীয়ান এই কোচ। আসন্ন বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের জন্য ২৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে মূল প্রশ্ন থেকে যায়—এই ইউরোপীয় কোচের অধীনে কেমন ফুটবল খেলবে ব্রাজিল?

শৈল্পিক ফুটবলের সূতিকাগার ব্রাজিলে রিয়াল কোচ কেমন প্রভাব বিস্তার করবেন? কেমন হবে প্ল্যান এবং প্লে স্টাইল—এটাই এখন সবচেয়ে আলোচনায়।

আর এসব প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিলেন আনচেলত্তি, তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের মতো খেলবে আমার ব্রাজিল। তবে এ বছরের মতো নয়, গত বছরের মতো। তবে জানি যে এটা নির্ভর করে খেলোয়াড়দের উপর। আমি চাই দলটা মাঠে স্বচ্ছন্দে খেলুক। একই ধাঁচে খেলবে, এমনটা ভাবা ভুল হবে। এটা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজও নয়।’

ব্রাজিল দলের প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রত্যাশা প্রকাশ করতে ভোলেননি এই চ্যাম্পিয়ন কোচ। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘বিশ্বের সেরা দল ব্রাজিল। আমি বলছি বলে নয়। ওদের জার্সিতে পাঁচটি তারা আছে। বিশ্বের আর কোনো দলেরই তা নেই। আমার লক্ষ্য এবার ষষ্ঠ তারাটি নিশ্চিত করা।’

তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে, নিজ দেশ ইতালির কোচ হওয়ার ইচ্ছা ছিল না আনচেলত্তির? সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন খোলামেলা ভাবে। তিনি বলেন, ‘স্প্যালেত্তি এখন ইতালির কোচ। ও আমার বন্ধু এবং দারুণ একজন কোচ। তবে ইতালি কখনো আমায় ডাকেনি। অথচ ব্রাজিল অনেক আগেই যোগাযোগ করেছিল।’

সব মিলিয়ে আনচেলত্তির এই মন্তব্যে স্পষ্ট, দায়িত্বের শুরুতেই তিনি নিজের লক্ষ্যে স্থির। তাঁর অভিজ্ঞতা, কৌশল এবং বড় ম্যাচে চাপে না পড়ার মানসিকতা এবার ব্রাজিলকে নতুন এক পথের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এখন দেখার, ইউরোপের পর ছয় নম্বর বিশ্বকাপ জয়ের ট্রফিটিও কি আনচেলত্তির হাত ধরে দক্ষিণ আমেরিকায় ফিরবে?

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link