পরিসংখ্যানের পাতায় এক নম্বরে বাংলাদেশ। তবে এটা গর্বের নয় লজ্জার এক রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে বিপর্যস্ত দলটির এমন অর্জন।
তিন ফরম্যাটের মধ্যে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ১৮৮টি ম্যাচ। এর মধ্যে হার ১১২টি, জয় এসেছে ৭২টিতে। পরিত্যক্ত হয়েছে ৪টি ম্যাচ।
তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের পরেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টির বিশ্বজয়ী দলটি ২১৬টি ম্যাচ খেলে হেরেছে ১১০টি। তৃতীয় স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার হারের সংখ্যা ১০৯, ম্যাচ খেলেছে ২০৩টি। পাকিস্তান খেলেছে সবচেয়ে বেশি ২৬১টি ম্যাচ, হেরেছে ১০৫টিতে। আর পঞ্চম স্থানে থাকা জিম্বাবুয়ে ১৬৪টি ম্যাচে হেরেছে ১০৩ বার।
এই পরিসংখ্যানে একটি জিনিস স্পষ্ট, যেসব দল বেশি ম্যাচ খেলেছে, তাদের হারও তুলনামূলক বেশি। তবে জয়ের হার কিংবা সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় অনেক দলই এগিয়ে থাকলেও, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হারের সংখ্যাটি চোখে পড়ার মতো।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রতিটি বলেই ঘুরে যেতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। ভুল করার সুযোগ কম থাকায় এই শর্ট ফরম্যাটে চ্যালেঞ্জও বেশি। দলগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে কম্বিনেশন, মাঠে নেয় নতুন সব পরিকল্পনা। কেউ কেউ সাময়িক সাফল্য পেলেও, আবার অনেক দল পড়ে যায় ধারাবাহিক ব্যর্থতার মুখে।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পরিণত কোনো কৌশলের সন্ধান এখনো পায়নি। কখনো ব্যাটিং ব্যর্থতা, কখনো বোলিংয়ের দুর্বলতা, আবার কখনো ফিল্ডিংয়ের মারাত্মক ভুল ম্যাচ গড়িয়েছে হার দিয়ে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই সংখ্যার পেছনে।
একের পর এক হারে কোনঠাসা বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো খুব জরুরি। হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে জয়ের আলো ছুঁতে পারবে কি বাংলাদেশ? নাকি নেতিবাচক পরিসংখ্যানটাই সঙ্গী হবে লিটন-শান্তদের?