ব্যাঙ্গালুরুর আগ্রাসন যেন আহমেদাবাদের বৃষ্টি

যে স্নায়ুচাপে কাবু হয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটাররা। সেই একই চাপ পাঞ্জাবের ব্যাটাররা সামলে নিতে পারলেই শিরোপা হবে কিংসদের। অপরপ্রান্তে মুকুটহীন রাজা হয়েই প্রস্থান ঘটবে বিরাট কোহলির, আরও একটিবার। 

ফাইনালে এসেছিল বৃষ্টির বাঁধা। কিন্তু মেঘ থেকে নেমে আসা বৃষ্টি মুহূর্তেই পরিণত হল রানের অবারিত ধারায়। ইংল্যান্ড থেকে উড়ে এসে সেই ধারার শুরুটা করেছিলেন ফিল সল্ট। কিন্তু আহমেদাবাদের বৃষ্টির মত সল্টের রানের বৃষ্টিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

বিরাট কোহলি সচারচর যা করেন, এদিনও তাই করলেন। ইনিংস মেরামত করে সেটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। মাঝখানে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ফিরে যান ১৮ বলে ২৪ রান করে। ফিল সল্ট স্রেফ নয় বলে আরও ১৬টি রান যুক্ত করে গিয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের স্কোরবোর্ডে।

অধিনায়ক রজত পাতিদারকে খুব একটা হাতখোলার সুযোগ দিলেন না পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা। বিরাট কোহলি তখনও নিজের প্রথম আইপিএল শিরোপা জয়ের স্নায়ুচাপকে আটকে রাখলেন, দলের জন্যে যতটুকু সম্ভব নিজের ইনিংস বড় করবার দিকেই মনোযোগ দিলেন।

আহমেদাবাদের উইকেটে রান তোলার ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাটারদের বেগ পোহাতে হয়নি। বেশ অনায়াসে রান তুলে যাচ্ছিলেন ব্যাঙ্গালুরু ব্যাটাররা। কিন্তু কেউই সেই অর্থে থিতু হতে পারেননি। বিরাট আউট হওয়ার পর, বাকিরা আগ্রসনের সাথে ইনিংস শুরু করলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি।

লিয়াম লিভিংস্টোন ফিরেছেন ১৫ বলে ২৫ রান করে। রোমারিও শেফার্ড নয় বলে ১৭ রান তুলেছেন। মাঝে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য ম্যাচ জেতানো জিতেশ শর্মা স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় ব্যাট চালিয়েছেন। স্রেফ ১০ বলে ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

ব্যাঙ্গালুরুর পুরো ইনিংসে বিরাট কোহলির ৪৫ রানই ছিল সর্বোচ্চ রান। এর বাদে আর কেউই সেই অর্থে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রান এসেছে, আরেক প্রান্ত থেকে উইকেট তুলে নিয়েছেন পাঞ্জাবের বোলাররা। আর্শদ্বীপ সিং আর কাইল জেমিসনরা সময়ে সময়ে লাগাম টেনে ধরেছেন তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়ে। তবুও ১৯০ রান তুলেছে ব্যাঙ্গালুরু।

ফাইনালের মঞ্চে এই সংগ্রহ মোটেও কম নয়। যে স্নায়ুচাপে কাবু হয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটাররা। সেই একই চাপ পাঞ্জাবের ব্যাটাররা সামলে নিতে পারলেই শিরোপা হবে কিংসদের। অপরপ্রান্তে মুকুটহীন রাজা হয়েই প্রস্থান ঘটবে বিরাট কোহলির, আরও একটিবার।

Share via
Copy link