হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা আজও ওই জামাল

জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তিনিই অর্কেস্ট্রা চালান। তাঁর দিক নির্দেশনাতেই পুরো দলটা খেলে। ভুটানের বিপক্ষেও যেমন তিনি খেললেন প্রথমার্ধে। তাঁর কর্নার কিক থেকেই গোল করলেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশ জাতীয় স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে দিয়ে উল্লাস করল পুরো দল।

তবে, এই দৃশ্যটা হয়ত বেশি দিন দেখা যাবে না। সামিত সোম চলে এসেছেন। চলে আসবেন কিউবা মিচেলও। হামজা তো আছেনই। উইঙ্গার হিসেবে ফাহমিদুল নিজের জাত চিনিয়েছেন। কাজিম শাহ আছেন। এই জমাট মধ্যমাঠে জামালের জায়গাটা ঠিক কোথায়! এর চেয়েও বড় প্রশ্ন, জামাল কি আর নব্বই মিনিট একই ছন্দে খেলতে পারবেন?

জামাল যতক্ষণ খেলেছেন ভুটানের বিপক্ষে – ততক্ষণ নিজেকে উজার করেই দিয়েছেন। তিনি ছিলেন মধ্যমাঠের প্রাণভোমরা। ক্লাসিক অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে খেলেছেন। গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। একটা গোল দিয়েও ফেলতে পারতেন, ভুটানের রক্ষণ সেটা হতে দেয়নি।

এই যে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম গোলের দেখা পেলেন হামজা, সেখানেও কিন্তু জড়িয়ে আছে জামালেরই নাম। গোল করেও হামজা আঙুল তাঁক করে ছুটে গিয়েছিলেন ওই অধিনায়কের কাছেই। হামজাও জানেন, এই দলের বাঁশি বাজান জামাল। জামালই প্রথম প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশ দলে এসেছিলেন। তাঁর দেখানো পথ ধরেই পরবর্তীতে এসেছে তারিক কাজি, ফাহমিদুল বা হামজারা।

কিন্তু, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়। সেই বাস্তবতা জামালও জানেন। হয়তো কোচও বুঝেন। সামিত-কিউবাদের ভিড়িয়ে জামাল হয়তো বেঞ্চই গরম করবেন। কিন্তু, যতটা দিন আছেন – নিজেকে উজার করে দিয়ে যাচ্ছেন। এই দলের আর্মব্যান্ড ওই ছয় নম্বর জার্সিধারীর হাতেই সবচেয়ে বেশি মানায়!

Share via
Copy link