নাটকীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের নাটকে ডুবল বাংলাদেশ

ছোট ছোট ভুল আর সিঙ্গাপুরের নেতিবাচক রণকৌশলের কাছেই নতি স্বীকার করে বাংলাদেশ।

মোরসালিনের ক্রস, তারিক কাজীর হেডার। বল বার ছুয়ে চলে গেল মাঠের বাইরে। রেফারি বাশি বাজিয়ে দিলেন, ১০২ মিনিটের লম্বা এক ম্যাচের ইতি ঘটল। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন হামজা, সামিত সোম কিংবা তারিকরা।

দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একটা গোল ফিরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের রাকিব হোসেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। সিঙ্গাপুরের ‘নেতিবাচক’ ট্যাকটিকসের ফাঁদে বাংলাদেশ পড়ল বারবার। দ্বিতীয়ার্ধে যখন মুহুর্মুহ আক্রমণে সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ, তখনই মাঠে সিঙ্গাপুরের কেউ একজন বসে পড়ছেন, ইনজুরির নাটক করছে, কিংবা গোল কিক নিতে দেরী করছেন গোলরক্ষক হাসান সানি।

একদম অন্তিম মুহূর্তে ইনজুরির অজুহাতে বাড়তি কালক্ষেপণের হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় হামি শাহীনকে। একটা যৌক্তিক পেনাল্টিও বাংলাদেশ পায়নি। এত নাই নাইয়ের ভিড়ে ম্যাচ জেতা কঠিন। সেই কঠিন কাজটা করতেই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল।

ম্যাচের দুই অর্ধে দুটি গোল খেয়ে ২–০তে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ সমতায় ফিরেছিল হামজার রক্ষণচেরা পাস থেকে রাকিবের গোলে। এরপর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও আর গোল পায়নি বাংলাদেশ দল। গোলরক্ষকের ভুল না হলে হয়তো গোল দু’টো হজমই করতে হয় না বাংলাদেশকে।

দ্বিতীয় গোলে সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ডের শট বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল ঠেকালেও ভালোভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে যান ফান্দি। দূরের পোস্টে তাঁর নেওয়া শট তাকিয়ে তাকিয়ে জালে যেতে দেখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তপু বর্মণ। মিতুল তখন ছিলেন প্রথম পোস্টে। তপুর সে সময় দ্বিতীয় পোস্টে থাকার কথা। কিন্তু তিনি ছিলেন ভুল জায়গায়। পেছন থেকে সাদও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন।

প্রথম গোলের দায়ও নিতে হবে মিতুল মারমাকেই। লম্বা থ্রো থেকে বল বাংলাদেশের বক্সে। গোলকিপার মিতুল মারমা বল পাঞ্চ করলেও বিপদমুক্ত হয়নি। সিঙ্গাপুরের এক খেলোয়াড় মিডফিল্ডার সং উই ইয়ংয়ের কাছ থেকে বল পাঠান। ব্যস, গোল করতে ভুল করেননি ইয়ং। এই ছোট ছোট ভুল আর সিঙ্গাপুরের নেতিবাচক রণকৌশলের কাছেই নতি স্বীকার করে বাংলাদেশ।

Share via
Copy link