ডাচ প্রাচীর আগলে রেখেছে গল শহরকে। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম সেই দূর্গ বনে গেলেন বাংলাদেশের পক্ষে। টপ অর্ডারের আরও এক ব্যর্থতার দিনে সেই মিডল অর্ডারই ধরল হাল। শান্ত-মুশফিক গড়লেন রেকর্ড গড়া জুটি। দুইজনে মিলে প্রায় সারাদিন করলেন ব্যাটিং।
২৪৭ রানের অপরাজিত এক জুটি। যেখানে প্রায় ১৩ ইনিংস পর মুশফিকের ব্যাটে এলো পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। সেই পঞ্চাশকে ঠিকই শতকে পরিণত করেছেন মুশফিকুর রহিম। গলের দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামেই তো মুশফিকের ক্যারিয়ারের জুড়ে দিয়েছিল দ্বিশতকের গৌরব।
এবার মুশফিক চান সেই গৌরবের স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে যাক নাজমুল হোসেন শান্তকে। মুশফিক বলেন, ‘শান্তর যেহেতু একটাও দুইশো নাই, তাহলে কেন না? আমার মনে হয় দুইশো-আড়াইশো যতটুকু ও করতে পারে সেটা আমাদের জন্যে প্লাস পয়েন্ট।’
গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে ১৩৬ রানে অপরাজিত আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্তর এই ইনিংসটি আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত মনে হয়েছে মুশফিকের কাছে। প্রতিপক্ষকে একটাও সুযোগ না দেওয়ায় মুশফিক রীতিমত প্রশংসা করলেন শান্তর।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যেটা ভাল লেগেছে এত নিয়ন্ত্রিত ইনিংস! ও এর আগেও ক্যান্ডিতে একটা সেঞ্চুরি করেছিল। তারপর এই একশোটা আমি বলব যে শীর্ষে থাকবে। নিয়ন্ত্রিত ইনিংস খেলা এবং কোন সুযোগ না দেওয়া, এটা আমার কাছে মনে হয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
রেকর্ড গড়া জুটিতে মুশফিকের সেঞ্চুরি পেতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। উইকেট সহয়তা করেছে এ কথা সত্য। কিন্তু শ্রীলঙ্কা বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চায় না বাইশ গজে। এ নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘এরা ফিল্ড প্লেসমেন্ট ওভাবেই করে, কন্ডিশন অনুযায়ী। অন্যান্য প্রতিপক্ষ দুই-তিনটা চার মারার পর ফিল্ডারকে পেছনে পাঠায়, এরা একটা চারের পরই পিছিয়ে নেয়।’
এখন দ্বিতীয় দিনে নিদেনপক্ষে দু’টো সেশন জিততে চায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ যতটা সম্ভব নিজেদের ইনিংসগুলো বড় করার বার্তাই দিয়ে গেলেন তিনি। সে জন্যে দ্বিতীয় দিনের প্রথম এক ঘন্টা হবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেটুকু চ্যালেঞ্জ নিশ্চয়ই উৎরে যেতে চাইবেন মুশফিক ও শান্ত। এরপর এগিয়ে যাবেন আরও এক বাংলাদেশি দ্বিশতকের দিকে!