মিরপুরে মুস্তাফিজ, ‘ট্রিট টু ওয়াচ’

স্লো উইকেট আর ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ- চোখের শান্তি, দলের স্বস্তি। পাকিস্তানের বিপক্ষে কাটার মাস্টার যেন বোঝালেন- কন্ডিশন অনুযায়ী তিনি এখনও দুর্ধর্ষ। 

১৯ তম ওভারে স্রেফ এক রান। এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব কেবল মুস্তাফিজুর রহমানের পক্ষেই। স্লো উইকেট আর ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ- চোখের শান্তি, দলের স্বস্তি। পাকিস্তানের বিপক্ষে কাটার মাস্টার যেন বোঝালেন- কন্ডিশন অনুযায়ী তিনি এখনও দুর্ধর্ষ।

মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। মুস্তাফিজের চার ওভারে খরচা মাত্র ছয় রান। এর মধ্যে ডেথ ওভারে মাত্র তিন রান দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পাশপাশি নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। মোট দু’টো উইকেট গিয়েছে ফিজের ঝুলিতে।

শেরে বাংলার সেই চিরায়ত স্লো উইকেট। বল যেন ব্যাটে আসতেই চাইছিল না। এমন উইকেট পেয়ে যেন মুস্তাফিজের মনে ফুটেছিল লাড্ডু। নিজের কারিশমা দেখানোর এর থেকে ভাল সুযোগ তো সহসাই পাবেন না তিনি।তাই করলেন মুস্তাফিজ।

তার বিপক্ষে পাকিস্তানি ব্যাটাররা যেন নির্বিকার। বল থমকে যাওয়া উইকেটে মুস্তাফিজের কাটার মিলেমিশে ভয়ংকর পরিস্থিতি। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল স্পষ্ট, যাই হোক উইকেটে, তারা খেলবেন মেরে। সেই পরিকল্পনার গুড়ে বালি ছিটিয়েছেন মুস্তাফিজ।

প্রথম স্পেলের দুই ওভারে তিন রান দিলেন মুস্তাফিজ। তুলে নিলেন হাসান নাওয়াজের উইকেট। দ্বিতীয় স্পেলে তার শিকার খুশদিল শাহ। দুই ভয়ংকর ব্যাটার পড়েছেন ফিজের ফাঁদে। এছাড়াও আরও একটি উইকেট পেতেই পারতেন মুস্তাফিজ। ফাহিম আশরাফের প্যাডে লাগা বলটাতে রিভিউ নিতে বলেছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু অধিনায়ক লিটন দাস তার অনুরোধে সাড়া দিলেন না।

তবে তাতে অবশ্য মুস্তাফিজের কিছু যায় আসে না। তিনি বরং নিজের কাজ করেই খুশি। তিনি চাইলেই পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে দিতে পারার সিংহভাগ কৃতীত্বের জানাতে পারেন দাবি। কন্ডিশনের এমন দারুণ ব্যবহার করতে পারাও তো একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত স্কিল।

Share via
Copy link