আন্দ্রে রাসেলের বিদায়ের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াইটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের পাওয়ার-হিটিংয়ের এক নির্মম প্রদর্শনীতে সবকিছুই পণ্ড হয়ে গেল।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দারুণ ভাবেই। ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৩৬ বলে ৫১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ক্যারিবীয়দের। তবে কিং আউট হওয়ার বিপর্যয় নেমে আসে। ৮ম ওভারে কিংকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা, এরপর শাই হোপ ও শিমরন হেটমায়ার ম্যাক্সওয়েলের হাতেই কুপোকাত হন।
আগের ম্যাচে ঝড় তোলা রোস্টন চেজও ব্যর্থ এদিন, জাম্পার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। এক পর্যায়ে ৬৩ রানে এক উইকেট হারানো থেকে ৯৮ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে তখনই মাঠে ঝড় ওঠে, ‘ড্রে রাস’ ঝড়। ১৫ বলে ৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে স্মরণীয় করে রাখতে চাইলেন নিজের শেষ দিন। ৪ ছয় হাঁকিয়ে আবারও প্রাণ ফেরান ইনিংসে। তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অস্ট্রেলিয়ার ১৭৩ রান তাড়ার শুরুটা আক্রমণাত্মকই ছিল, তবে দ্রুতই ফিরে যান দুই ওপেনার। ম্যাক্সওয়েল জেসন হোল্ডারের বলে ক্যাচ দেন। অধিনায়ক মিচেল মার্শও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারের মাথায় ৪২ রানে দুই উইকেট হারায় অজিরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাবনার আলো তখনও বেঁচে ছিল।
তবে সেই আলো দ্রুতই নিভে যায়। তৃতীয় উইকেটে জোশ ইংলিস ও ক্যামেরন গ্রিন শুরু করেন ধ্বংসযজ্ঞ, ছিন্নভিন্ন করে দেন তারা বোলিং লাইনআপ। ইংলিসের ৩৩ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের আর ক্যামেরন গ্রিনের ৩২ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসে শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। দু’জনে গড়েন ১৩১ রানের রেকর্ড জুটি। অজিরা সহজেই আট উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়।
কিংস্টনের গ্যালারি তখন স্তব্ধ—এ যেন একতরফা আক্রমণের নিদর্শন দেখলো সবাই। রাসেলের শেষ যাত্রাটা জয়ের রথে দাঁড়িয়ে হলো না। অজিদের পাওয়ার ক্রিকেটে লণ্ডভণ্ড হলো সবকিছু।