এবি ডি ভিলিয়ার্স ব্যাটে রান করছেন, মাঠজুড়ে একক আধিপত্য তাঁর, লুফে নিচ্ছেন এমন সব ক্যাচ যা কল্পনা করতেও হয়তো ভাবতে হয়। বছর দশেক আগের সেই তরতাজা ৩১ বছরের এবি নয়, বলছি ৪১ বছরের এক বুড়ো ঘোড়ার কথা।
সময়ের সাথে বয়স বাড়ে, সবকিছু বদলে যায়। তবে এবি যেন ঘড়ির কাঁটা ধরে রাখার মন্ত্র জানেন। সে মন্ত্রবলে নিয়মের বিপরীতে দাঁড়িয়ে টেক্কা দিচ্ছেন বয়সকে।
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন্স অব লেজেন্ডস লিগে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামলেন৷ সেই চিরচেনা ব্যাটের সুরে মুগ্ধ করে রাখলেন সবাইকে। যেন সেই স্বর্ণালি সময়ের মিস্টার ৩৬০°। তবে চমকটা যে তখনও বাকি ছিলো। ৮ম ওভার করতে তখন বল হাতে এলেন ইমরান তাহির, ব্যাটে ইউসুফ পাঠান।
ইমরান তাহিরের গুগলি বলটা উড়িয়ে মারেন ওয়াইড লং-অন দিয়ে, ছুটে গিয়ে বলটা লুফে নেন ডি ভিলিয়ার্স। তবে বাউন্ডারি লাইনের কাছাকাছি থাকায় ভারসাম্য হারানোর আগে বলটা ফিরিয়ে দেন পেছনে। বল খুঁজে নেয় সারেল আরভির হাত।
হতবাক পুরো স্টেডিয়াম। ইউসুফ পাঠান যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তবে নামটা যে এবি ডি ভিলিয়ার্স। ক্রিকেটে যিনি পরিচিত এলিয়েন হিসেবে। এর আগেও তো কত অসম্ভবকে তুড়িতে সম্ভব করেছেন। এটা আর এমন কী!
সময় যেন অতীতে ফিরে গিয়েছিল। যেখানে ক্রিকেটের একক শাসন চলতো একজনের। একেকটা ছয়, তালুবন্দি করা অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ মনে করিয়ে দিচ্ছিল সেই রূপকথার রাজার কথা, মনে করিয়ে দিচ্ছিল একজন আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্সের কথা।