আরহাম ইসলাম। মাত্র ১৬ বছর বয়স। ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট টায়ারের ক্লাব ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেড এর অনূর্ধ্ব-২৩ দলে। এই বয়সেই পেরিয়ে গেছেন দেশের গণ্ডি, ছুঁয়েছেন পেশাদার ফুটবলের আন্তর্জাতিক কাঠামো।
অথচ, বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ২৩ দলের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া ৫৩ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে তাঁর নাম নেই। থাকবে কি করে? জায়গা পেতে হলে শুধু পারফরম্যান্স নয়, দরকার হয় সিস্টেমের ছায়া। বলা হচ্ছে, সিন্ডিকেটের থাবায় বাংলাদেশ দলে জায়গা হয়নি আরহাম ইসলামের।
আগস্টের ১৮ ও ২২—দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ, প্রতিপক্ষ বাহরাইন। সামনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। প্রাথমিক দলে না থাকায় অনুমান করা যায় ক্যাম্পেও তিনি থাকবেন না। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন—বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলে নাকি জায়গা নেই ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেড অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলা একজন নিয়মিত ফুটবলারের!
কোচ সাইফুল বারী টিটু তিন মাস আগে টেলিভিশনে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, ‘আরহাম আমাদের ক্যাম্পে থাকছে।’ তাহলে হঠাৎ এই মোড় ঘোরালো কেন? গুঞ্জন বলছে, টিটু কেবল নামমাত্র কোচ, কলকাঠি নাড়ছে আরেকজন—জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। নিন্দুকেরা বলেন, তিনি নাকি এদেশে ফুটবল সিন্ডিকেটের নতুন ব্যাকরণ লিখছেন।
প্রশ্ন একটাই—বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলে জায়গা পাওয়া কি এখন কাগজে কলমে অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট টায়ার ক্লাবের থেকেও কঠিন? নাকি ওপেন সিন্ডিকেটের দাপটে ফুটবলার বাছাই এখন আর মাঠের পারফরম্যান্সে হয় না?
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যদি সিদ্ধান্ত পাল্টায় তাহলে দুয়ার খুলবে আরহাম ইসলামের। দুয়ার খুলবে একটা নতুন সম্ভাবনার। যদি, দরজা বন্ধই থাকে তহলে দেশর ফুটবল হারাবে আরেকটি সম্ভাবনার আলো, আর সিন্ডিকেট জিতবে আরেকটি ম্যাচ—মাঠের বাইরে!