সিরিজের শেষ ম্যাচে পাঁচ পরিবর্তন। এই ছোট্ট বিষয়টি ভীষণ ইতিবাচক, ফলাফল খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ দল। সিরিজ জয়ের পর এমন ম্যাচে সেই পরিকল্পনার ছক বাস্তবায়ন মুখ্য। বাংলাদেশ দল ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যে স্কোয়াড গোছাতে ব্যস্ত। তাইতো দলের সাথে থাকা প্রত্যেকেরই চাই সমান সুযোগ।
একটা দারুণ পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টির নয়া অধিনায়ক লিটন দাস। হাতে আছে বছর খানেক সময়, এরই মধ্যে একটা ইউনিটে পরিণত হতে চায় বাংলাদেশ। আর সে কারণেই ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমন ম্যাচে পরিবর্তন করাই বরং ভবিষ্যত ভাবনার প্রতিফলন।
বাংলাদেশ দল তানজিম হাসান সাকিবকে ভাবছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। তার তো একজন ব্যাকআপ থাকা চাই। সে কারণে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দলের সাথে রাখা। শুধু দলের সাথে রাখলেই যে প্রয়োজনের মুহূর্তে তার কাছ থেকে সার্ভিস মিলবে তা প্রত্যাশা করা তো বোকামি।
সে কারণেই সাইফউদ্দিনকে ম্যাচ খেলতে দেওয়া প্রয়োজন। এই ভাবনা থেকেই তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশে পেয়েছেন সুযোগ। ঠিক তেমননি কোন অঘটন না ঘটলে রিশাদ হোসেন টি-টোয়েন্টি একাদশের নিয়মিত মুখ হিসেবে রয়েছেন, এবং থাকবেন। তবে কন্ডিশন ভেদে তাকেও তো বাদ দিতে হতে পারে।
সে কারণে রিশাদের বিকল্প হিসেবে দলে রয়েছেন নাসুম আহমেদ। সেই নাসুমকেও তাই ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া। নিজেকে প্রস্তুত যেন তিনি রাখতে পারেন। তাছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ও শেখ মেহেদীকেও ভাবা হচ্ছে একে অপরের বিকল্প।
তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন বাংলাদেশের থিতু ওপেনিং জুটি। তবে একজন ব্যাকআপ ওপেনার তো প্রয়োজন। সে কারণেই নাঈম শেখকে ম্যাচ খেলতে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিদেনপক্ষে এশিয়া কাপের আগে অন্য কাওকে ভাবনাতে আনা সম্ভব নয়।
পরিপূর্ণ পারফরমার ও যথাযথ ব্যাকআপ প্রস্তুতের এই ভাবনা পাঁচ পরিবর্তনের প্রভাবক। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি বৃহৎ চিত্রে ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই যে ইতিবাচকতা এই ধারা অব্যাহত থাকুক, এটাই প্রত্যাশিত।