বাংলাদেশ হেরেছে বিশাল ব্যবধানে। তবে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে। ঠিক এ কারণেই সম্ভবত তিনি স্কোয়াডে। না, তিনি যে দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী করেছেন তা নয়। তবে তার ব্যাটিং সামর্থ্যে জানান অন্তত দিলেন। কিন্তু সাইফউদ্দিনকে একাদশে ব্যবহারের ভিন্ন পন্থায় হাটতে হবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে।
সাইফউদ্দিন যে ব্যাটিং পারেন, সেটা তিনি আগেও প্রমাণ করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৯ ইনিংসে তার গড় প্রায় ৩৬। দু’টো ফিফটিও আছে তার সেখানে। লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে মোটামুটি যেসব গুণ থাকা প্রয়োজন তার সবটুকুই আছে সাইফউদ্দিনের মাঝে।
বাইশ গজে নেমে তার থিতু হতে সময় প্রয়োজন পড়ে না। হার্ডহিটিংও করতে পারেন তিনি। তাছাড়া তার শটের রেঞ্জও একমুখী নয়। প্রায় উইকেটের চারিপাশেই খেলতে পারেন। এমন একজন ব্যাটার লোয়ার অর্ডারে থাকা আশির্বাদের মত। কিন্তু, বাংলাদেশ দল তাকে ভাবছে বোলিং অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চার ওভার বোলিং করেছেন সাইফউদ্দিন। চার ওভারে ২৮ রান খরচায় এক উইকেট বাগিয়েছেন। তার করা প্রথম তিন ওভারে নয় রান হজম করেন তিনি। এরপর ডেথ ওভারে ১৭ রান বিলিয়েছেন তিনি। অতএব সাইফউদ্দিনকে প্রধান বোলার হিসেবে বিবেচনা করা বরং ভুল।
সাইফউদ্দিনকে ভাবতে হবে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে। যিনি কি-না বোলিং করে দেবেন। তবে তার ঘাড়ে চার ওভারের বোঝা চাপিয়ে না দেওয়াই উত্তম। তার বোলিং ব্যবহারের জন্যে জুটি বাঁধতে হবে শামীম হোসেন পাটোয়ারির সাথে।
দুইজনে মিলে চার ওভারের কোটা পূরণ করবেন। কিংবা শামীমের বিশ্রামে সাইফউদ্দিনকে ভাবতে হবে বিকল্প হিসেবে। কেবলই তবেই সাইফউদ্দিন হবেন কার্যকর, একাদশে তার অন্তর্ভুক্তি হবে ফলপ্রসূ।