এখনও ভিলিয়ার্স প্রলয়ের সেই পুরনো নটরাজ

৪১ তো কেবল একটা সংখ্যা! বয়স তো কেবলই সময়ের মরিচীকা। ভিলিয়ার্স ওই সবুজ গালিচায় পা দেওয়া মাত্রই থমকে যায় সমস্তকিছু।

এবি ডি ভিলিয়ার্স প্রলয়ের নটরাজ, বাইশ গজের রাজাধিরাজ। ৪১ তো কেবল একটা সংখ্যা! বয়স তো কেবলই সময়ের মরিচীকা। ভিলিয়ার্স ওই সবুজ গালিচায় পা দেওয়া মাত্রই থমকে যায় সমস্তকিছু। হৃদয় গহীনের হাইলাইটস চোখের সামনে ধারণ করে বর্ণিল চিত্র।

আরেকটু হলেই এই বুড়ো বয়সে নিজের রেকর্ডকে নতুন করে গড়তে চলেছিলেন। ৩১ বলে সেঞ্চুরির ওই ভয়াবহ তাণ্ডবই ফিরে এলো। দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন্সের হয়ে রীতিমত চ্যাম্পিয়ন খচিত আরও একটি ইনিংস উপহার দিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

কেন তিনি চলে গেলেন? এই আক্ষেপে পুড়েছে সহস্র কোটি হৃদয়। আরেকটু কি থেকে যেতে পারতেন না? এমন প্রশ্নে মিশে ছিল এক প্রকাণ্ড তৃষ্ণা। সেই অপ্রাপ্তির ছেলেমানুষীর আবদার ভিলিয়ার্স ভোলাতে ফের ফিরে এলেন বাইশ গজে।

টুর্নামেন্টটা বুড়োদের। তবে ভিলিয়ার্স যেন সেই টগবগে তরুণ। ব্যাটের আঘাতে পাথড়ের বুকে তৈরি করেন আদিম কোন শিল্পকর্ম। ৫১ বলের প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তিরা যেন হতভম্ভ। ভ্রুক্ষেপ যেন ছিল না স্রেফ আরেক পাশে থাকা ধ্যানী সাধুর।

হাশিম আমলা স্থির নয়নে দেখে গেলেন ব্যাটের আঁচড়ে বাইশ গজের ক্যানভাসে আঁকা সেই পুরনো চিত্র। ডি ভিলিয়ার্সের চিরসবুজ আগ্রাসন নিশ্চয়ই আমলার মনেও দিয়ে গেছে দোলা। স্মৃতিতে ভেসে উঠেছে মহাকাব্যিক সেই সব দিনরাত্রি।

ফেলা আসা ক্যারিয়ারের জলজ্যান্ত হাইলাইটস দেখাবেন বলেই হয়ত ভিলিয়ার্স ফিরেছেন। তৃপ্তির অগোচড়ে তিনি কি তৃষ্ণা আরও একটু বাড়িয়ে দিচ্ছেন? হয়ত! দর্শকদের অভিশাপে কি সময় থমকে দাঁড়াবে? নাকি বিষাদের অতলের পাণে ছুটে যাবে আপন গতিতে?

Share via
Copy link