টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৮ তম শতক হাঁকালেন জো রুট। যেন একটা অঘোষিত বার্তা দিলেন, টেস্ট রাজ্যের একক শাসক এখন তিনি। ধারাবাহিকতা আর নান্দনিকতা দিয়ে গড়া সে রাজ্যের ভিত। তাকে যেন টলানো সম্ভব নয়, ভেঙে ফেলা সম্ভব নয়।
জো রুট ব্যাট হাতে নামবেন, সেঞ্চুরি হাঁকাবেন এটাই তো নিত্যদিনের ঘটনা। লর্ডসের পর ওল্ড ট্রাফোর্ডেও তাই করলেন। আরও এক শতক তুলে নিলেন ভারতের বিপক্ষে। ক্রিকেট দেখলো চোখ জোড়ানো, মন ভোলানো আরও একটি ‘রুট শো।’
প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৩৫৮ রানের বিপরীতে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি আর বেন ডাকেটের জুটি ভাঙতে না পেরে যেন দিশেহারা ভারত। বোঝায় যাচ্ছিল এই টেস্টের লাগাম ইংলিশদের হাতে।
দুই ওপেনার যখন ফিরলেন গুটি গুটি পায় ক্রিজে আসলেন জো রুট। আজ আর খুব একটা চাপ ছিল না স্কোরবোর্ডে। তবে চাপ থাকুক বা না থাকুক রুটের ব্যাট তোয়াক্কা করে না কিছুর।
কখনো বুমরাহদের পেস দাম্ভিকতাকে চুপ করিয়ে দিয়েছেন এক একটা ড্রাইভে, কখনো জাদেজাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন ক্লাসিক সব শটে। তুলে নিয়েছেন আরও এক সেঞ্চুরি, সবকিছুই যেন একেবারে পিকচার পারফেক্ট।
জো রুট এখন টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিন নম্বর অবস্থানে। সামনে কেবল দুই গ্রেট শচীন এবং পন্টিং। শুধু তাই নয়, ম্যানচেস্টারের ঐতিহাসিক ওল্ড ট্রাফোর্ডে টেস্ট ফরম্যাটেই ১০০০ রান পার করা একমাত্র ব্যাটার এখন তিনি।
তাঁর কাছে হয়তো এগুলো স্রেফ কিছু পরিসংখ্যান, এগুলো নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায়! তিনি তো ক্রিকেটের এক নিখুঁত শিল্পী, যার কাজ কেবলই সবুজ ক্যানভাসে ব্যাটকে তুলি বানিয়ে চিত্র আঁকা, যে চিত্রটি দেখে গ্যালারির দর্শকরা মুগ্ধ হবেন, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন এই তো!