মুস্তাফিজুর রহমান যেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের জাদুর কাঠি, যিনি দলে থাকলেই নিশ্চিত জয়। আর যে ম্যাচ তিনি খেলবেন না, সেটাতে হারতে হবে বাংলাদেশকে। এটা অবাস্তব কোনো গল্পকথা নয়, পরিসংখ্যানই বলছে এমন কথা।
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যার মধ্যে পাঁচটি জয়, আর বাকি সাতটিতে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে লিটনদের। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয়—যে ম্যাচগুলো মুস্তাফিজ খেলেছেন, সেগুলোতেই কেবল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
এ বছরের মে মাসে বাংলাদেশ আরব আমিরাতের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল। যেখানে প্রথম ম্যাচেই কেবল খেলেছিলেন মুস্তাফিজ। এরপর উড়াল দিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার জন্য। ফিজের খেলা প্রথম ম্যাচে ২৭ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান দিয়ে মুস্তাফিজ শিকার করেছিলেন দুই উইকেট। সিরিজের বাকি যে দুই ম্যাচ তিনি খেলেননি, বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে।
এরপর তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে দল পাড়ি জমায় পাকিস্তানে। চোটের কারণে সে সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন না মুস্তাফিজ। ফলাফল—তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে দল।
বাংলাদেশের পরের অ্যাসাইনমেন্ট ছিল শ্রীলঙ্কা সফর। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে একাদশে ছিলেন না কাটার মাস্টার। বাংলাদেশের সঙ্গী হয় সাত উইকেটের পরাজয়।
পরের ম্যাচে ফেরানো হয় তাঁকে। তিন ওভারে ১৪ রান দিয়ে শিকার করেন এক উইকেট। ৮৩ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। এদিন আট উইকেটের ব্যবধানে জিতে সিরিজ বাগিয়ে নেয় লিটনের দল।
এবারের পরীক্ষা ঘরের মাঠে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। হলোও তাই—প্রথম ম্যাচেই সাত উইকেটের জয় পেল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ করেন অবিশ্বাস্য এক স্পেল, চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট পকেটে পুরেন।
দ্বিতীয় ম্যাচেও আট রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এদিনও একাদশে ছিলেন ফিজ—১৫ রানে শিকার করেন এক উইকেট। তবে শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে, আর আশ্চর্যভাবে বাংলাদেশ হেরে বসে। তাই তো মুস্তাফিজ বলতেই পারেন—যদি জিততে চাও, আমাকে দলে রাখো।