এশিয়া কাপের একাদশে গিলের কি ফেরা উচিত?

ইংল্যান্ডে সফল টেস্ট সিরিজের পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শুভমান গিল। টেস্ট এবং ওয়ানডের সাথে টি-টোয়েন্টিতেও গিলকে নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। তবে বাস্তবতার বিচারে তা কতটুকু যৌক্তিক, সেটা নিয়েও আছে সংশয়।

ইংল্যান্ডে সফল টেস্ট সিরিজের পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শুভমান গিল। টেস্ট এবং ওয়ানডের সাথে টি-টোয়েন্টিতেও গিলকে নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। তবে বাস্তবতার বিচারে তা কতটুকু যৌক্তিক, সেটা নিয়েও আছে সংশয়।

আসন্ন এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে সুরিয়াকুমার যাদবের সহ অধিনায়ক হিসেবে গিলকে বিবেচনা করা হচ্ছে, যদিও এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে খেলেননি। তবে তিন ফরম্যাটে তাঁর নেতৃত্ব কাজে লাগাতে চায় বিসিসিআই, এজন্যই হয়তো এত তোড়জোড়।

গিলের সাম্প্রতিক বছরের আইপিএল পারফরম্যান্স বিচার করলে নিঃসন্ধেহে তিনি ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার যোগ্য দাবিদার। ২০২৩ সালের পর থেকে আইপিলে গিল ব্যাটিং করে আসছেন ৫০.৪ গড় এবং ১৫৪.৮ স্ট্রাইকরেটের সাথে।

মূলত ক্লাসিকাল ঘরোনার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ইনিংস গড়ে তুলতে সিদ্ধহস্ত গিল। পরিস্থিতি বুঝে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও করতে পারেন। তবে প্রশ্নের জায়গাটা ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা কোথায়?

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর থেকে ভারতের শীর্ষ  তিন ব্যাটার সম্মিলিতভাবে খেলেছেন ১৭৩.১ স্ট্রাইকরেটে। যেখানে অভিষেক শর্মা, সন্জু স্যামসন  ও তিলক ভার্মার আগ্রাসী সূচনা ভূমিকা রেখেছে গুরুত্বপূর্ণভাবে। এসময় তারা তিনজন মিলে ৭ টি সেঞ্চুরি করেছেন।

শুধু তাই নয় পাওয়ার প্লেতে তাঁরা ১৫৮ স্ট্রাইক রেটে খেলছেন এবং গড়ে প্রতি ৩.৬৫ বলে একটি করে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। অন্যদিকে, শুভমান গিলের পাওয়ারপ্লেতে স্ট্রাইক রেট মাত্র ১৩৮, এবং তাঁর বাউন্ডারি আদায়ের গড় বল প্রতি ৪.৭২। এই পরিসংখ্যান ভারতের বর্তমান ওপেনিং ত্রয়ীর সঙ্গে তুলনায় বেশ পিছিয়ে।

 

ভারতের বর্তমান স্থিতিশীল টি-টোয়েন্টি দলে পরিবর্তন আনার ঝুঁকি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা। গিলের লাল বলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁকে ইতিমধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডেতে দীর্ঘমেয়াদী নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে দিয়েছে। তবে ভারতের টি-টোয়েন্টি দল যখন ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। সেখানে গিলের অন্তর্ভুক্ত কতটা প্রয়োজনীয় কিংবা আদৌ কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে কি না, প্রশ্নটা থেকেই যায়!

Share via
Copy link