স্ট্রাইকরেটের কারণেই বাবর আজম উপেক্ষিত। এশিয়া কাপের দলেও তার জায়গা হয়নি এই স্ট্রাইকরেটের বিষয়টি বিবেচনায়। বিশেষ করে স্পিনারদের বিপক্ষে বাবরের দূর্বলতা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্যে। ২০২২ সাল থেকে সব ধরণের টি-টোয়েন্টিতে স্পিনারদের বিপক্ষে ধুকেছেন বাবর।
এই সময়ে স্পিনারদের বিপক্ষে নিদেনপক্ষে এক হাজার বল মোকাবেলা করে বাবরের স্ট্রাইকরেট ১২২.৯১। সব ধরণের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি সর্বনিম্ন। এবারের এশিয়া কাপ আয়োজিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে স্পিনারদের আধিপত্য প্রত্যাশিত। এমন কন্ডিশনে তাই বাবরের অভিজ্ঞতাও খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
তবে কি বাবরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার এখানেই শেষ? এমন একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বটে। এই প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর অবশ্য মেলেনি। কিন্তু পাকিস্তানের হেডকোচ মাইক হেসন অবশ্য একটা পথ বাতলে দিয়েছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যে বাবরকে ধোঁয়াশায় রেখেছেন তা নয়। স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন তার কোন কোন জায়গা উন্নতি করা প্রয়োজন।
মাইক হেসন বলেন, ‘আমাদের জন্য বাবর আজমকে বিবেচনা না করা খুবই কঠিন, কারণ তিনি দারুণ মানের খেলোয়াড়। বাবরকে কিছু জায়গায় উন্নতি করতে বলা হয়েছে—বিশেষ করে স্পিনের বিরুদ্ধে ব্যাটিং আর স্ট্রাইক রেটের ব্যাপারে।’ আর তার উন্নতি ঘটেছে সেটা প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে রয়েছে বিগ ব্যাশ।
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশের দল সিডনি সিক্সার্সের হয়ে খেলার কথা বাবরের। সিডনির জার্সি গায়ে বাবরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমেই বাবরকে প্রমাণ করতে হবে তার উন্নতি ঘটেছে। এ বিষয়ে হেসন বলেন, ‘বাবর আজমের সামনে সুযোগ আছে বিগ ব্যাশ লিগে খেলে দেখানোর যে- তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেসব জায়গায় উন্নতি দরকার, সেখানে ভালো করছেন।’
গেল বছরের ডিসেম্বরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন বাবর। এরপর তাকে এক প্রকার নির্বাসনের নিক্ষেপ করা হয়েছে এই ফরম্যাটে। সবার ধারণা ছিল বাবরের সংক্ষিপ্ততমে ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলার দরজা বন্ধ। কিন্তু বাবর মানের একজন ব্যাটারের জন্যে পথ কখনোই পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয় না। বাবর কি পারবেন নিজের উন্নতি প্রমাণ করতে?