হেইডেনকে লজ্জা থেকে বাঁচালেন রুট!

জো রুটের সেঞ্চুরির পর যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন ম্যাথু হেইডেন। না, তাঁকে উলঙ্গ হয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আর হাঁটতে হচ্ছে না। রুটের ব্যাট রীতিমতো মান বাঁচিয়ে দিল তাঁর।

জো রুটের সেঞ্চুরির পর যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন ম্যাথু হেইডেন। না, তাঁকে উলঙ্গ হয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আর হাঁটতে হচ্ছে না। রুটের ব্যাট রীতিমতো মান বাঁচিয়ে দিল তাঁর।

নামের পাশে ৩৯ শতক, তবে এই ম্যাচের আগে একটাও ছিল না অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সবাই ধরেই নিয়েছিল রুট কখনোই অজি সাম্রাজ্যে ব্যাটটাকে উঁচিয়ে ধরতে পারবে না। তবে ম্যাথু হেইডেন বিশ্বাস রেখেছিলেন রুটের উপর। শুধু বিশ্বাস বললেও যে কম বলা হবে, অতি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, এই সফরে রুট যদি সেঞ্চুরি করতে না পারেন, তবে তিনি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উলঙ্গ হয়ে হাঁটবেন!

প্রথম ম্যাচে অবশ্য ব্যর্থ হয়েছিলেন রুট। দুই ইনিংস মিলিয়ে যত্রাক্রমে করেছিলেন ০ এবং ৮ রান। সবাই ধরেই নিয়েছিল রুট পারবেন না সেঞ্চুরি করতে, আর হেইডেনও পারবেন নিজেকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে।

হেইডেনের প্রার্থনা জুড়ে বুঝি ছিল দ্বিতীয় টেস্ট। এবারও কি তাঁকে নিরাশ করবেন রুট? এই শঙ্কার ইতি টানলেন রুট, দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে বদলে গেল সবকিছু। বদলে দিলেন জো রুট। দলের বিপর্যয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন, শতক হাঁকালেন। রুট যখন ব্যাটটাকে উঁচিয়ে ধরলেন, তখন বোধহয় সবথেকে খুশি হলেন ম্যাথু হেইডেনই। শুধু তাই নয়, দিনশেষে স্বস্তি মিলল ইংল্যান্ডের ডেরায়ও।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link