ডাবল হেডার। দ্বাদশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দিনে মাঠে গড়াবে দুই ম্যাচ। স্বাগতিক সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ দিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে এবারের বিপিএলের। প্রতিপক্ষ তাদের আরেক নবাগত দল রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স।
খেলোয়াড় বাছাই থেকে শুরু করে বাস তৈরি, সবকিছুতেই পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে রাজশাহী। দলটাও বেশ শক্তিশালী। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন ওয়ারিয়ার্সের ব্যাটিং ইউনিট মারকাটারি। বোলিংয়ে আছে বৈচিত্র্য। বিদেশিদের মিশেল তাদের দলকে বানিয়ে দিয়েছে শিরোপার দাবিদার।
একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে, রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স। অতএব সিলেটের জন্য অপেক্ষমান কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ঘরের মাঠে ছেড়ে কথা নিশ্চয়ই বলবে না সিলেট টাইটান্স। দর্শকদের সঙ্গী করে রাজশাহীকে চেপে ধরার রসদও আছে সিলেটের ডেরায়। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে জয় নিয়েই শুভসূচনা করতে চাইবে সিলেট টাইটান্স।

সাইম আইয়ুবের ঝড়ো ব্যাটিং, মোহাম্মদ আমিরের অভিজ্ঞ বোলিং- বাড়তি আস্থা জোগাচ্ছে সিলেটকে। অন্যদিকে রাজশাহীর ভরসায় ওপেনিংয়ে শাহিবজাদা ফারহান, বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের জোগান দেবেন নেপালের সন্দীপ লামিচানে। দেশীয় খেলোয়াড়দের শক্তিমত্তার পাল্লাটা ধরে নেওয়া যায় সমান সমান।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে, দুই নবাগত চট্টগ্রাম রয়্যালস ও নোয়াখালী এক্সপ্রেসের লড়াই। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে অবধি চট্টগ্রামের বিদেশি খেলোয়াড়দের হদিস নেই। চারজন বিদেশি নিয়ে একাদশ সাঁজাতে পারবে কি-না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। দলটার মিডল অর্ডারে ঘাটতি আছে, অকপটেই তা স্বীকার করেছেন ব্যাটিং কোচ তুষার ইমরান।
কোটি টাকার নাঈম শেখের ব্যাটেই নিভু নিভু করে জ্বলছে। সেই প্রদীপের জ্বালানি হওয়ার জন্য প্রস্তুত শরিফুল ইসলাম। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলী অনিকদের নিয়ে গড়া নোয়াখালীর ব্যাটিং অর্ডার, চ্যালেঞ্জ জানাতে ও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। হাসান মাহমুদ, নাজমুল ইসলাম অপুদের বোলিং আক্রমণটাও নেহায়েত মন্দ নয়।

দিনের প্রথম খেলা যদিও বা হাড্ডাহাড্ডি না হয়, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই হতে পারে সমান সমান। সমগোত্রীয় শক্তিধর দুই দলের লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে শিশিরের প্রভাব। সিলেটের উইকেটে রান প্রত্যাশা করা যায়। বোলারদের সহয়তাও প্রত্যাশিত। উইকেটের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারলেই, উদ্বোধনী দিনটা হতে পারে বিনোদনে ভরপুর।











