ইমনই মিডল অর্ডারের সেরা নাম

চার নম্বরে ধারাবাহিক সাফল্য, পারভেজ হোসেন ইমন নিজেকে বানিয়ে ফেলেছেন পুরোদস্তুর মিডল অর্ডার ব্যাটার। অচেনা পজিশনে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন ভিন্ন রূপে, খুঁজে পেয়েছেন ছন্দ। যা স্বস্তিতে রাখছে বাংলাদেশকেও।

বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ৬৫ রানের দূর্দান্ত ইনিংস চার নম্বরে পজিশনের জন্য পাকাপাকি ভাবে আলোচনায় এনেছে ইমনকে। ক্লিন হিট, স্পিনে পারদর্শিতা, স্ট্রাইক রোটেট করা, চাহিদা অনুযায়ী রান তোলা সবই কথা বলছে তাঁর পক্ষে। তবে একটা ধোঁয়াশা ছিল, এক ম্যাচেই কি আর চার নম্বরের সার্টিফিকেট হাতে তুলে দেওয়া যায়?

পরদিন ইমন সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন, নোয়াখালী বিপক্ষে নামলেন চার নম্বরে, দলের বিপদের সময়ে। হাল ধরলেন, আক্রমণ চালালেন, ফিফটি তুলে দলকে স্বস্তিতে ফেরালেন। শেষপর্যন্ত ৪১ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এনে দিলেন।

দুই ম্যাচের মধ্যে কোন তেমন কোন তফাৎ চোখে পড়বে না আপনার। দৃশ্যপট, পরিস্থিতি সবই এক ছিল, দুই ম্যাচেই ফিফটিও এলো। যেন আগের ইনিংসটার কপি-পেস্ট করলেন। পার্থক্য কেবল জয়-পরাজয়ের।

এমন ধারাবাহিক সাফল্য বুঝিয়ে দিল জাতীয় দলের চার নম্বর পজিশনের বড় সমাধান হতে পারেন এই ইমনই। বাংলাদেশ দলে টপ অর্ডার ব্যাটারদের আধিক্য থাকলেও মিডল অর্ডারের শূন্যতা চোখে পড়ার মতো। ফিনিশারদের নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলে মিডল অর্ডারের কাজটা। আর এখানেই স্বস্তির বার্তা হয়ে এলেন ইমন।

জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে নিজের খেলা শেষ ম্যাচেও ব্যাটিং করেছিলেন ওই চার নম্বরেই। ম্যানেজমেন্ট যে তাঁকে পাকাপোক্ত করতে চাইছে ওই রোলে। সে ম্যাচে ইমন খেলেছিলেন অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস। আর এবার বিপিএলে নেমে টানা দুই ম্যাচে ফিফটি। সবকিছুই একটা বার্তাই দিচ্ছে, ইমনই এখন চার নম্বরের জন্য সেরা নাম।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link