ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সপ্তম রাউন্ডে এসে মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান ও আবাহনী। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথে বিতর্ক সৃষ্টি করেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আম্পায়ারের সিদ্বান্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
এমনকি বৃষ্টি আসার আগেই খেলা বন্ধ করায় স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন তিনি। সাকিব বিবাদে জড়ান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও। এমন ঘটনার পর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব।
সাকিব তার বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রিয় ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা, আমি আমার মেজাজ হারানোর জন্য অত্যন্ত দুঃখিত এবং ম্যাচের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। বিশেষ করে ম্যাচটি যারা বাসা থেকে দেখেছেন। আমার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উচিত হয়নি এই ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো। কিন্তু কখনো কখনো দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ঘটে যায়। এই মানবিক ভুলের জন্য আমি আমার দল, টুর্নামেন্টের কর্মকর্তা এবং কমিটির কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি, ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি হবে না। আপনাদের ধন্যবাদ এবং সবার জন্য ভালবাসা।’
ঘটনাটি ঘটে আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল আবাহনী। তখন প্রথম বারের মত আক্রমণে আসেন সাকিব। সাকিবের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মুশফিকুর রহিম চার ও ছয় মারার পর শেষ বলে বল লাগে মুশফিকের প্যাডে।
কিন্তু সাকিবের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে লাথি মেরে ভেঙে ফেলেন বোলিং প্রান্তের স্টাম্প। আম্পায়ারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করার পর সাকিবকে সরিয়ে নেন সতীর্থরা। চলতি ডিপিএলে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন সাকিব। জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভেঙে অনুশীলনে বাইরের বোলার এনে ছিলেন তিনি।
তবে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর আজ রান পেয়েছেন সাকিব। ২৭ বলে ৩৭ রান করেন মোহামেডানের অধিনায়ক। টানা তিন ম্যাচে হারের পর বিতর্কিত এই ম্যাচে ৩১ রানের জয় পেয়েছে সাকিবের দল। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে মোহামেডান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ১৪৫/৬ (ওভার: ২০; মজিদ- ১৬, পারভেজ- ২৬, শুকুর- ১৪, সাকিব- ৩৭, মাহমুদুল- ৩০*,) (স্বাধীন- ৩-০-২৪-৩, তানজিম- ৪-০-১৭-২)
আবাহনী লিমিটেড: ৪৪/৬ (ওভার: ৯ ; শান্ত- ১৩, মুশফিক- ১৮*) (শুভাগত- ৩-০-১৭-৩, তাসকিন- ২-০-৫-২)
ফলাফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩১ রানে জয়ী (বৃষ্টি আইনে)।